আর কয়েকটা দিন পরেই আসছে কালীপুজো। বছরের এই সময়টাকে ঘিরে কত গল্পকথাই না ছড়িয়ে থাকে আকাশে-বাতাসে! দেশীয় ভূত চতুর্দশী হোক বা বিদেশিদের হ্যালোইন। একটা গা ছমছমে আমেজ তো সব জায়গায়। তারকারও বর্তমানে মেতে ওঠেন হ্যালোইন উদযাপনে। বলা চলে হাল আমলের এটি একটি ট্রেন্ড।
হ্যালোইন বা অল হ্যালোইন মানে মহাপুরুষদের দিন। শুরটা পশ্চিমি দেশগুলিতে হলেও এখন তা গোটা পালিত হয় পৃথিবী জুড়েই। ঘরবাড়ি সবকিছুতেই কেমন একটা ভূতুড়ে ছোঁয়া। আট থেকে আশি সকলেই সেজে ওঠে নানা রকম পোশাকে। আর সেই সব পোশাক যেমন তেমন সাজ নয়, তাতে থাকে ভৌতিক ছোঁয়া।
প্রসঙ্গত বলে রাখি এই উৎসবের সূচনা হয় আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে। মূলত হ্যালোইন হল একটি প্রাচীন আর্যদের উৎসব যা ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকায় ফসল কাটার শেষ দিনে উদযাপিত হয়। বছরের ৩১ অক্টোবর পালিত হয় এই বিশেষ উৎসবটি। কিছু কিছু জায়গায় ‘অল সেন্টস ইভ’ নামেও পরিচিত এই উৎসবটি।
ইতিহাস ঘাঁটলে এর কিছু উদ্দেশ্যে খুঁজে পাওয়া গেলেও বর্তমান দিনে এ যেন নিছকই একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। মজা, আর রং বেরঙের সাজের বাইরেও এই দিনটার যে একটা বিশেষ অর্থ রয়েছে সে কথা খুব কম মানুষই জানেন। আজকে এই রকমই কয়েকটি অজনা তথ্য তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
প্রথমেই বলি, হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। এই বিশেষ দিনটিতে মূলত সাধু বা মহাপুরুষদের স্মরণ করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, যে সব আত্মাদের মুক্তি হয়নি বলে ধারণা তাদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয় এই দিনটিতে। এমতাবস্থায় হ্যালোইনের একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় জিনিস হলো কুমড়ো। কিন্তু কেন হঠাৎ কুমড়োই হয়ে উঠল উদযাপনের উপকরণ?
এইদিন আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া খোলেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, বহু মানুষ তাদের বাড়ি ঘর সাজিয়েছেন কুমড়ো দিয়ে। আসলে গ্রীষ্মের শেষ এবং শীতের শুরুর দিকে আমেরিকা বা ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে ব্যাপক রোগের প্রকোপ দেখা দিতো। সেই সময় ক্ষেত থেকে অপদেবতাদের দূরে রাখার জন্য কুমড়োর ভিতরে আলো জ্বালিয়ে রাখার প্রথা চালু হয়। আর সেই প্রথাই হালফিলের হ্যালোইন।