নিউজশর্ট ডেস্কঃ নিজের উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বহু মানুষ ব্যাংকিং এবং পোস্ট অফিসের ওপর নির্ভর করে। অনেকেই আছে যারা ঝুঁকি নিতে পারেন না, তাই শেয়ার মার্কেট কিংবা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরিবর্তে ব্যাংকিং পরিষেবার ওপর ভরসা রাখেন। তাই বিভিন্ন ব্যাংকেও নানারকমের ডিপোজিট স্কিম রয়েছে।
ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা টাকা দীর্ঘমেয়াদে রাখার পর একটি মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনি রেকারিং ডিপোজিট(Recurring Deposit) স্কিমে চড়া সুদসহ টাকা দেওয়া হয়। এখানে টাকা রাখলে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে। তবে বিভিন্ন রকমের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম সম্পর্কে অবশ্য জেনে রাখা দরকার।
রেকারিং ডিপোজিট স্কিম : এই স্কিমের অধীনে গ্রাহককে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করতে হয় এবং মেয়াদ শেষে রিটার্ন পাওয়ার সময় মোটা টাকার সুদের হার যুক্ত হয়ে অনেক টাকা রিটার্ন হাতে আসে। এখানে গ্রাহক নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।
রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে সুদের পরিমাণ: বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক ১ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের জন্য ৫.৫০ শতাংশ থেকে ৭.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। আর প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাধারণ গ্রাহকদের তুলনায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট অতিরিক্ত সুদ দেওয়া হয়।
HDFC ব্যাঙ্ক RD স্কিমে কত সুদ দিচ্ছে?
এই ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রেকারিং ডিপোজিট সিমের ক্ষেত্রে সুদের হার নিম্নে দেওয়া হল।
- ৬ মাসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে সুদ ৪.৫০ শতাংশ।
- ৯ মাস মেয়াদে সুদ ৫.৭৫ শতাংশ।
- ১২ মাস মেয়াদে সুদের হার ৬.৬০ শতাংশ।
- ১৫ মাস মেয়াদে সুদের হার ৭.১০ শতাংশ।
- ২৪ মাস মেয়াদে সুদের হার ৭ শতাংশ।
- ২৭ মাস, ৩৬ মাস, ৩৯ মাস, ৪৮ মাস, ৬০ মাস, ৯০ মাস ও ১২০ মাস মেয়াদে সুদের হার ৭ শতাংশ।
এই HDFC ব্যাঙ্কে ৫ বছরের জন্য রেকারিং ডিপোজিট-এর ক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ হবে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ এখানে প্রত্যেক মাসে ১ হাজার টাকা করে জমালে ৫ বছরে আপনার জমানো টাকা হচ্ছে ৬০,০০০ টাকা। এরপরে সুদের হার হিসাবে পাবেন ১১,৯৩৩ টাকা। অর্থাৎ সুদসহ আপনার রিটার্ন মিলবে ৭১,৯৩৩ টাকা। আর প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সুদের হার ৭.৫০ শতাংশ। এক্ষেত্রে একই পরিমাণ টাকা জমালে আপনি সুদসহ মোট রিটার্ন পাবেন ৭২,৮৮৬ টাকা।