নিউজশর্ট ডেস্ক: এখন শুধুমাত্র ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের বিনিয়োগ(Investment) নয়, মোটা টাকা রিটার্নের আশায় বহু মানুষ শেয়ার বাজার থেকে মিউচুয়াল ফান্ড এই মাধ্যমগুলোতে বিনিয়োগ করে থাকেন। তবে অতিরিক্ত লোভ করতে গিয়ে বহু মানুষের টাকা ডুবতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বিচার বিবেচনা করে যদি বিনিয়োগ করা যায় তাহলে চিন্তা অনেক কম হয়। তবে একটা জিনিস সবসময় মনে রাখতে হবে যেখানে যত বেশি রিটার্ন সেখানে তত ঝুঁকি বেশি।
কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতে পারেন?
বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক তার ফিক্সড ডিপোজিট রেটে সুদের হার বাড়িয়েছে। অনেক ব্যাংক ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। আবার PPF-এ প্রত্যেক বছর ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকারের আরেকটি জনপ্রিয় প্রকল্প হলো সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। এই যোজনাতে সুদ বেড়ে ৮.২ শতাংশ হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে কিষান বিকাশ পত্র। যেখানে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ। এছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে সুদের হার দেওয়া হচ্ছে ৭.৭ শতাংশ। এছাড়া ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে গড়ে ১০ থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।
সরকারি এই প্রকল্প গুলো ছাড়াও বাজারে এখন ছোট বড় মাঝারি নানা মাপের মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের এসআইপি রয়েছে। যেখান থেকে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। এসআইপিতে যেখানে রিটার্ন বেশি রয়েছে সেখানেই ঝুঁকি বেশি থাকে। মিউচুয়াল ফান্ডে তিন থেকে পাঁচ বছরের বিনিয়োগে গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। তবে এই ক্ষেত্রগুলোতে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এইগুলো বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ মাধ্যম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা এসআইপিতে অর্থ বিনিয়োগ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিনিয়োগের আগে অবশ্যই সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনোই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা নয়।