নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি ঘুরতে যেতে পারলেই বোধহয় সবচেয়ে বেশি খুশি। কেউ সমুদ্র পছন্দ করেন তো কেউ আবার ভালোবাসেন পাহাড়। তবে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে যদি পাহাড়ি গ্রামে একটু নিরিবিলিতে সময় কাটানো যায় সেই অনুভূতি সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থেকে যায়। আজ এমনই একটা অফবিট ডেস্টিনেশনের (Offbeat Destination) খোঁজ নিয়ে হাজির আপনাদের জন্য। সামনেই দুর্গাপুজো, এই সময় কিছু মানুষ প্যান্ডেল হপিং আর আড্ডা মারতে ব্যস্ত থাকেন তো কেউ লম্বা ট্রিপে বেরিয়ে পড়েন। আপনিও কি তাদের মধ্যেই একজন যারা ঘুরতে যেতেই বেশি ভালোবাসেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদন অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়ুন।
আজ যে জায়গার কথা বলব সেটা হল পালামপুর, হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট আর অপরূপ সুন্দর একটি শহর। যেখানে পাহাড়ের কোলে যেমন চা বাগান আছে, তেমনি আছে নদী, ঝর্ণা থেকেই দুর্দান্ত সুন্দর প্রকৃতির ভিউ। তাই এবছর যদি হিমাচল প্রদেশ ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে তাতে পালামপুর অবশ্যই যোগ করে নেবেন।
পালামপুরের কাছেই রয়েছে ধর্মশালা, যোগিন্দর নাগর, বৈজনাথ ও মান্ডি। তাই যদি উত্তর ভারতে ৫-৬ দিনের ট্রিপ করেন একবার পালামপুর ঘুরে দেখা যেতেই পারে। এখানে গিয়ে কাংড়া চায়ের বাগান, Jakhni Maa এর মন্দির, বৈজনাথ মন্দির থেকে শুরু করে পাহাড়ের কোলে এক দুর্দান্ত পিকনিক স্পট ও ঝর্ণা। এছাড়া নেউগাল খাদও সত্যিই দেখার মত একটা জায়গা, যেখানে তারের তৈরী ব্রিজ আছে। রয়েছে সৌরভ বন বিহার যেখানে একবার গেলে কোথা দিয়ে কয়েক ঘন্টা পেরিয়ে যাবে ধরতেও পারবেন না।
কিভাবে পৌঁছাবেন পালামপুর?
আপনি আকাশ পথে, ট্রেন পথে বা বাসপথে পালামপুর পৌঁছাতে পারেন। যদি প্লেনে আসতে চান তাহলে কাংড়া এয়ারপোর্টের টিকিট কাটতে হবে। এখন থেকে পালামপুরের দূরত্ব মাত্র ৩৮ কিলোমিটার। এরপর যদি ট্রেনে আসতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে পাঠানকোট পর্যন্ত কোনো এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে ন্যারো গেজ লাইনের ট্রেন ধরে পালামপুর স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারেন। কিন্তু গতবছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সস্তায় আসতে হলে পাঠানকোট বা ধর্মশালা থেকে বাস পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের পাদদেশে সুন্দরী নদী, রইল দার্জিলিংয়ের কাছের এক অজানা অফবিট ডেস্টিনেশনের হদিশ
পালামপুরে কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জন্য একাধিক হোটেল রয়েছে। যেখানে মোটামুটি ১৩০০ টাকা থেকে শুরু। তবে সিজেনের উপর ঘরের ভাড়া নির্ভর করে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া নিয়েও খুব একটা অসুবিধা হবে না কারণ এখানে যেমন খাবারের হোটেল আছে তেমনি একাধিক রেস্তোরা থেকে শুরু করে ফুড চেন শপও রয়েছে।