ট্রেনে (Indian Railway) যাতয়াত করতে বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা। একদিকে যেমন সস্তায় হয় যাতায়াত তেমনই অন্যদিকে বজায় থাকে স্বাচ্ছন্দ্য। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্যও ভরসা রাখেন ট্রেনে। লোকাল ট্রেনে চড়েই যাতায়াত করেন একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত। যারা ট্রেনে সফর করতে ভালোবাসেন তারা যদি জানালার ধারে বসার জায়গা পেয়ে যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। মূল কথা ট্রেনের যাত্রা কম খরচে অনেক বেশী আরামদায়ক।
তবে নিত্যদিন ট্রেনের যাতায়াত করলেও বহু অজানা কাহিনী জানিনা আমরা। তেমনই অনেকেই হয়তো জানেন না যে এমন বেশ কিছু ট্রেন রয়েছে যাদেরকে পথ দেওয়ার জন্য থামিয়ে দেওয়া হয় অন্য ট্রেন। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়ে থাকে এই অনুমতি। সেই তালিকায় কোন কোন ট্রেন রয়েছে সে কথাই জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে।
এই তালিকায় রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং বন্দে ভারতের মতো সেমি হাইস্পিড ট্রেন গুলি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় রাজধানী এক্সপ্রেসকে। কোন লাইন দিয়ে যদি রাজধানী এক্সপ্রেস আসে এবং অন্যদিকে যদি সেই লাইনে কোন ট্রেন থাকে তবে সেই ট্রেনকে থামিয়ে জায়গা করে দেওয়া হয় বিশেষ এই ট্রেনকে।
তবে কেবলমাত্র এই ট্রেনগুলি নয় আরও এমন বেশকিছু ট্রেন রয়েছে যাদেরকে দেওয়া হয় এই সুবিধা। দুর্ঘটনার ত্রাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম কিম্বা এক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিকেল ইনকুইপমেন্ট ট্রেন সাধারণত দুর্ঘটনাস্থলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। আর সে কারণেই বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয় এই ট্রেনকে। এমনকি এই ট্রেন আসলে থামিয়ে দেওয়া হয় রাজধানী এক্সপ্রেসও।
তবে নিত্যদিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় রাজধানী এক্সপ্রেসকেই। এরপরেই রয়েছে শতাব্দী এক্সপ্রেস এর নাম। সুপারফাস্ট ট্রেন এর তালিকায় রয়েছে এর নাম। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে দুরন্ত এক্সপ্রেস নামক দূরপাল্লার একটি ট্রেন। রয়েছে তেজস এক্সপ্রেস সেমি হাইস্পিড ট্রেন। ২০০৫ সালে চালু হওয়া গরিব রথ এক্সপ্রেসও রয়েছে এই তালিকায়।