পার্থ মান্নাঃ যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে শুধুমাত্র সঞ্চয় নয় বরং কিভাবে ডাবল বা ত্রিপল টাকা রিটার্ন পাওয়া যায় সেটা ভাবা বেশি প্রয়োজন। প্রতিবছর প্রায় ৬% হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে। তাই এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেখানে অন্তত পক্ষে ৬% এর বেশি সুদ পাওয়া যাবে। আজকের প্রতিবেদনে এমনই কিছু সঞ্চয়ের প্ল্যান সম্পর্কে জানাবো আপনাদের।
সঠিক বিনিয়োগে হু হু করে বাড়বে টাকা
টাকা সঞ্চয়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও গ্যারেন্টীড উপায় হল ফিক্সড ডিপোজিট বা ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই সুদের পরিমাণ বেশ কম। তাই অনেকেই আজকাল মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লাগানোর কথা বিবেচনা করছেন। এখানে আপনার ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ১২% থেকে শুরু করে ২৫% বা তারও বেশি রিটার্ন দিতে পারে। তবে রিস্ক বেশি না নিয়ে ১২% রিটার্নের স্কিমে ইনভেস্ট করলেই ভালো রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
এবার অনেকেরই প্রশ্ন থাকে বিনিয়োগের কতদিন পর টাকা দ্বিগুন বা তিনগুণ হবে? এক্ষেত্রে আপনাকে দুটি নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। একটি হল Rule of 72 আরেকটি হল Rule of 114। এই দুই নিয়মের মাধ্যমেই আপনি সমস্ত হিসেবে নিজেই করে ফেলতে পারবেন। নিচে এই হিসাবের উদাহরণ দেওয়া হল যা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন।
টাকা ডাবল হওয়ার হিসাব
যদি আপনি টাকা ডাবল করতে চান তাহলে আপনাকে Rule of 72 অনুযায়ী হিসাব করতে হবে। ধরুন আপনি ৫ লক্ষ টাকা ১২% রিটার্নের হিসাবে বিনিয়োগ করেছেন। তাহলে ৭২ কে ১২% দিয়ে ভাগ করতে হবে। যার ফলাফল হবে ৬ বছর। অর্থাৎ আপনি যদি ৫ লক্ষ টাকা ১২% প্রতি বছরের হিসাযে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে সেটা দ্বিগুণ হতে ৬ বছর সময় লাগবে। তবে এটা শুধুমাত্র ৫ লক্ষ নয় যে কোনো অঙ্কের টাকার ক্ষেত্রেই ৬ বছর হবে।
টাকা তিনগুন হওয়ার হিসাব
এবার ধরুন আপনি ৫ লক্ষ টাকাকেই ১২% হিসাবে ইনভেস্ট করছেন। তবে এবার দ্বিগুণ নয় আপনি তিনগুণ টাকা রিটার্ন পেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে Rule of 114 ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১১৪ কে ১২% দিয়ে ভাগ করলে উত্তর আসবে ৯.৫। অর্থাৎ আপনার টাকা তিনগুণ হতে মোট সাড়ে ৯ বছর সময় লাগবে। এবার এই নিয়মগুলি মেনে বিনিয়োগ করলেই আপনি টাকা ডাবল বা ট্রিপল করে ফেলতে পারবেন।