পার্থ মান্নাঃ রেশন প্রকল্প নিয়ে একের পর এক আপডেট এসেই চলেছে। মূলত গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে মূল্যবৃদ্ধি থেকে বাঁচাতে ও দুবেলার অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে বিনামূল্যে চাল ও গম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্ডের ধরণ অনুযায়ী উপভোক্তারা চাল, গম থেকে চিনি ইত্যাদি রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন। তবে আমজনতাকে ফ্রীতে দেওয়া হলেও সরকারের রেশন দিতে খরচ হয় কত? এবার সেটাই জানানোর উদ্দেশ্যে স্লিপে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে।
রেশন স্লিপেই লেখা থাকবে চাল ডাল সহ সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ
এমাসের শুরু থেকেই রেশনের নিয়মে কিছু বদল আনা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল এবার থেকে রেশন তুললে পস মেশিন থেকে যে স্লিপ বেরোবে তাতে কত কেজি চাল ও কত কেজি গম দেওয়া হয়েছে সেটা লেখা থাকবে। একইসাথে সেটা দেওয়ার দেওয়ার জন্য সরকার কত টাকা খরচ করেছে সেটাও উল্লেখ করা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প বলে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ ও রাজ্য সরকারের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের খরচ লেখা থাকলেও ‘খাদ্য সাথী’ লোগো থাকবে না বলে জানা যাচ্ছে। রেশনের স্লিপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার নাম ও লোগো থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।
ফ্রি রেশন দিতে সরকারের খরচ কত?
যেমনটা জানা যাচ্ছে প্রতি কেজি চালের জন্য সরকারের তরফ থেকে ৩ ৭ টাকা ৪ ৬ পয়সা খরচ করা হচ্ছে। এছাড়া গমের জন্য ২৭ টাকা ৮ পয়সা হিসাবে খরচ ধার্য্য করা হয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্র যদি ৯ কেজি চাল ও ৬ কেজি গম দেওয়া হয় তাহলে সব মিলিয়ে ৪৯৯ টাকা ৬৮ পয়সা খরচ হচ্ছে সরকারের সেটা স্লিপে উল্লেখ করা থাকবে। এদিকে রাজ্যের ক্ষেত্রে একই রেশন সামগ্রীর জন্য ৫৬১ টাকা ৮০ পয়সা দেখানব হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বক্তব্য
রেশন সামগ্রীর জন্য ভর্তুকির পরিমাণ স্লিপে লেখার সিদ্ধান্ত জানার পর পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সব খরচ কেন্দ্রীয় সরকার এক বহন করে এটা সম্পূর্ণ সত্যি হয়। রাজ্যকে রেশন ডিলার থেকে ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন ও খাদ্যশস্য পরিবহনের খরচ দিতে হয়। তাছাড়া RKSY-1 ও RKSY-2 রেশনকার্ড গ্রাহকদের জন্য যে খাদ্যশস্য প্রদান করা হয় তার খরচ সবটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহন করে। তাই কেন্দ্রের ভর্তুকি যেমন লেখা থাকছে তেমনি রাজ্যের কত খরচ হচ্ছে সেটাও লেখা থাকছে স্লিপে।