নিউজশর্ট ডেস্ক: সঠিক জায়গায় যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেও মোটা টাকার সম্পদ তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য একাধিক মাধ্যম রয়েছে। যেখানে কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করতে পারা যায়। তবে এইসব ক্ষেত্রে অল্প থেকে বেশি ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়।
কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি ঠিক করেন যে ২০ থেকে ৩০ বছরের জন্যে প্রত্যেক বছর ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবেন একাধিক রকমের বিকল্পে সেখানে কিভাবে তিনি ১.৭৪ কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করতে পারবেন? এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের লো-রিস্ক ইনভেসমেন্ট রেশিও হল ৫০ শতাংশ, মিডিয়াম রিস্ক রেশিও হল ২৫ শতাংশ, আর হাই রিস্ক রেশিও হল ২৫ শতাংশ। এবার প্রশ্ন হল বছরে এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে কত টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়?
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এক্ষেত্রে তিনটি ক্যাটাগরিতে অর্থাৎ লো রিস্ক, মিডিয়াম রিস্ক এবং হাই রিস্ক এই জায়গাগুলোতে বিনিয়োগ করলে সম্ভাব্য রিটার্ন মিলতে পারে। তবে বছরে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে যদি ১.৭০ কোটি টাকা রিটার্ন দরকার হয়। তাহলে সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যম বেছে নিতে হবে কারণ এক্ষেত্রে চক্রবৃদ্ধিতে রিটার্ন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Investment: এবার খুব সহজেই হতে পারেন লাখপতি, ৫০ হাজার দিলে মিলবে ১৯ লাখ রিটার্ন!
এক্ষেত্রে কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টের জন্য ফিউচার ভ্যালু (এফভি):FV=PV×(1+r) n FV হল বিনিয়োগের ফিউচার ভ্যালু PV হল প্রাথমিক বিনিয়োগের বর্তমান বা প্রেজেন্ট ভ্যালু, r হল বার্ষিক সুদের হার, n হল মেয়াদ বা সময়কাল। এই হিসাব অনুযায়ী, ২০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ২০ = ১,০০,০০০ × (১+০.১০) ২০ এফভি২০ = ১,০০,০০০ × (১+০.১০) ২০ ২০= ১,০০,০০০ × (১.১০) ২০ এফভি২০ = ১,০০,০০০ × (১.১০) ২০ ২০ = ১,০০,০০০ × ৬.৭২৭ এফভি২০ = ১,০০,০০০ × ৬.৭২৭ ২০ = ৬৭,২৭,০০০ টাকা এফভি২০ = ৬৭,২৭,০০০ টাকা হবে।
আর যদি ৩০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হয়, ৩০ = ১,০০,০০০ × (১+০.১০) ৩০ এফভি৩০ = ১,০০,০০০ × (১+০.১০) ৩০ ৩০= ১,০০,০০০ × (১.১০) ৩০ এফভি৩০ = ১,০০,০০০ × (১.১০) ৩০ ৩০ = ১,০০,০০০ × ১৭.৪৪৯ এফভি৩০ = ১,০০,০০০ × ১৭.৪৪৯ ৩০ = ১,৭৪, ৪৯, ০০০ টাকা এফভি৩০ = ১,৭৪, ৪৯, ০০০ টাকা হবে।