ষাটের দশকে যে কয়জন বলিউড (Bollywood) ডিভা পর্দা কাঁপিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম চর্চিত নায়িকা হলেন বিদ্যা সিনহা (Vidya Sinha)। বিদ্যা একজন অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন নামি মডেলও বটেন। পাশাপাশি তার সৌন্দর্যের জন্যেও দারুন জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তো এই অভিনেত্রীর বলিউড ডেবিউ হয় ‘রাজ কাকা’ ছবির হাত ধরে।
অমল পালেকরের বিপরীতে ‘রজনীগন্ধা’ ও ‘ছোটি সি বাত’-এর মতো সফল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা। ‘পতি পত্নী অওর ও’এবং বিনোদ খান্নার সাথে ‘ইনকার’ ছবিতেও তার কাজ প্রশংসিত হয়েছিল। তবে অনেকেই হয়ত জানেননা যে, বিদ্যার বাবা বলিউডে সহকারী পরিচালকের কাজ করতেন। দাদু মোহন সিংহ ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক।
এদিকে অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, ১৯৪৭ সালের ১৫ নভেম্বর মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়স থেকে মডেলিং দিয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন বিদ্যা সিন্হা নামের এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার পর, একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
এরপর ১৯৬৮ সালে ভেঙ্কটেশ্বর আইয়ারকে বিয়ে করেন তিনি। তবে তাদের সুখের সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তার স্বামী। খুব বেশিদিন আর বাঁচেননি তিনি। তবে স্বামীর মৃত্যুর আগে তিনি একটি মেয়ে সন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু ভেঙ্কটেশ্বর আইয়ারের মৃত্যুর পর আর সংসারে থাকতে পারেননি বিদ্যা।
এরপর তিনি ভারত ছেড়ে সিডনিতে চলে যান। সিডনি যাওয়ার পর সেখানকার বিদেশি চিকিৎসক ভীমরাও সালুনকে-র সাথে যোগাযোগ হয়। যোগাযোগ বাড়তে বাড়তে কখন যে মন দিয়ে বসেন তা কেউ বুঝতেই পারেনি। এরপর তাড়াহুড়ো করে ২০০১ সালে ওই চিকিৎসককে মন্দিরে বিয়ে করেন বিদ্যা সিনহা।
তবে দ্বিতীয় বিয়ে করেও বিদ্যা সিনহা সমস্যায় পড়তে শুরু করেন। এরপর ২০০৯ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হয়রানির মতো গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ডিভোর্সের পর আর কোনো সম্পর্কে জড়াতে দেখা যায়না তাকে। মেয়ের উৎসাহে ফের ছবির জগতে ফেরেন বিদ্যা। ছোট পর্দায় নিজের জায়গা করে নেন আস্তে আস্তে।