শাহরুখের (Shahrukh Khan) সময়টা এখন বড্ড বর্ষা কালের মেঘ চাওয়া আবহাওয়ার মত। দীর্ঘ ফ্লপের পর সবেমাত্র সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন কী দেখেননি, অভিনেতার বিরুদ্ধে উঠল প্রচারনার (Cheating) অভিযোগ (Complaint)। জানা যাচ্ছে ভিক্টিম এক সাধারণ তরুণী। তবে আসল ব্যাপারটা কী? কেন অভিযোগ উঠেছে কিং খানের বিরুদ্ধে?
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের হয়ে বিজ্ঞাপন দেন বহু অভিনেতা। অনলাইন কোচিং সেন্টারের রমরমা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সুপারস্টার কোচিং সংস্থাগুলোর হয়ে বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন। শাহরুখ খানও তার ব্যতিক্রমী নন। কিন্তু সেই করেই বিপাকে শাহরুখ খান।
আসলে অভিযোগকারিনী এই তরুণী IAS হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার চাহিদামত প্রত্যাশাপূরণ হয়নি। আর সেই কারণেই কিং খানের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। তবে কেবলমাত্র কিং খান-ই নয়, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোচিং সংস্থাকেও দায়ী করেছেন ঐ তরুণী। মধ্যপ্রদেশের ক্রেতা সুরক্ষা প্যানেলের তরফে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগকারিনী ঐ তরুণীর নাম প্রিয়াঙ্কা দীক্ষিত। যার স্বপ্ন ছিল একজন নামী IAS অফিসার হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে ১.০৮ লক্ষ টাকা জমাও দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে ঐ তরুণী টাকা ফেরত চান। তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি টাকা ফেরত চেয়েছিলেন।
তবে বারংবার বলার পরেও টাকা ফেরত পাননি ঐ তরুণী। আর তারপরেই মধ্যপ্রদেশের ডিস্ট্র্রিক্ট কনজিউমার রিড্রেসার কমিশনে অভিযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা। তরুণীর অভিযোগ, শাহরুখ খানের বিজ্ঞাপন দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে নাম নথিভুক্ত করেন সংস্থায়। তাই মামলাতে শাহরুখের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, অ্যাডমিশন ফি-র পাশাপাশি ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের ক্রেতা সুরক্ষা প্যানেল নির্দেশ দিয়েছে অ্যাডমিশনের ১.০৮ লক্ষ টাকার সাথে ১২ শতাংশ সুদ দিতে হবে ওই তরুণীকে। এরসাথে মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকাও দিতে হবে, এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে।