কাপুর খানদানের অহঙ্কার নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। ঋষি কাপুর থেকে শুরু করে রণবীর কাপুর, করিনা কাপুর প্রত্যেকেরই নাক উঁচু স্বভাবের সাক্ষী থেকেছে সবাই। আর এই কারণেই কাপুর খানদান বিশেষ করে করিনা কাপুরের প্রতি একটু বিরূপ মনোভাব পোষণ করে থাকেন নেটিজনরা।
একে তো নায়িকার আত্ম অহঙ্কার একটু বেশিই, তার উপর তিনি হিন্দু হয়ে বিয়ে করেছেন মুসলিম ঘরে। এদিকে মুখে নারীবাদের বুলি কপচালেও তার সন্তানদের নামেও রয়েছে ইসলামিক প্রভাব। এই বিষয়টা হজম করতে পারেনি অনেকেই। তাই বিষয়টা নিয়ে নানা সময়ে নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে করিনাকে।
আর এবার বউমা-নাতিকে নিয়ে এবার মুখ খুললেন শর্মিলা ঠাকুর নিজে। প্রসঙ্গত, শর্মিলা নিজেও এই ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরোনো সাথী। প্রায় ষাট বছর ধরে কাজ করেছেন এখানে। এর আগে একাধিক ভয়ঙ্কর বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়েছে শর্মিলা ঠাকুরকে। মুসলিম বিয়ে থেকে শুরু করে হিন্দু হয়ে গোস্ত খাওয়া, সবকিছু নিয়েই চলেছিল কটাক্ষ।
তবে অভিনেত্রীর কথায়, তিনি গোটা জীবনেও অত সমস্যা দেখেননি যতটা দেখেছিলেন, তৈমুরের জন্মের সময়। আসলে ভারত বিরোধী রাজা তৈমুরের নামে ছেলের নাম রাখায় সেটাকে মেনে নিতে পারেনি কেউ। মানুষের বক্তব্য ছিল, ইতিহাসে কুখ্যাত দুর্দম লুন্ঠনকারীর নামে কেউ বংশধরের নাম রাখে নাকি!
এইসবের মধ্যেই নাকি কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন, “তৈমুরের (Taimur Ali Khan) জন্ম দেওয়ার চেয়ে জ়িকায় আক্রান্ত হতে পারতেন করিনা (Kareena Kapoor Khan)! তা হলে আর বাচ্চাটা জন্মাত না।” সম্প্রতি সেইসব স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শিউরে উঠলেন শর্মিলা (Sharmila Tagore)। প্রবীণ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি ভাবলাম, এরা কি সত্যি মানুষ? মানুষ কীভাবে এরকম কথা মনেও আনতে পারে! একটা একদিনের সদ্যোজাতের ক্ষতি চাইতে পারে?’
অভিনেত্রীর আরো সংযোজন, ‘নিজের জন্য ভয় পাইনি। শুধু মনে হয়েছিল, এটা কোন দুনিয়া? আর এই লোকগুলোই বা কারা? ভেবেছিলাম, এরা কি সত্যিই মানুষ? সমাজের সকলকে তো খুশি করে সম্ভব নয়! তাই নিজেকে ভাল রাখা জরুরী। অন্যের প্রেসক্রিপশন মেনে চললে নিজের ফোকাস, জীবনের ইচ্ছে সব জলাঞ্জলি দিতে হবে।’