নিউজশর্ট ডেস্কঃ বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবে রেকারিং ডিপোজিট-এর(Recurring Deposit)জনপ্রিয়তা অনেকটাই বেশি ভবিষ্যতের সুরক্ষা এবং নিশ্চিত রিটার্নের জন্য বিনিয়োগকারীরা এই রেকারিং ডিপোজিটে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। এই রেকারিং ডিপোজিট স্কিমে প্রত্যেক মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাউন্টে টাকা জমা করতে হয়।
আর প্রত্যেক মাসে যে পরিমাণ অর্থ জমা করতে হয় সেটাই ডিউ হিসেবে থাকে। গ্রাহকেরা প্রত্যেক মাসে নগদ অথবা লোকাল চেক-এর মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারেন। তবে একটা কথা অনেকেই মনে করেন যে কোন এক মাসে যদি রেকারিং ডিপোজিট ডিউ মিস করেন তাহলে কি কি হতে পারে? আজকের এই প্রতিবেদনে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদেরকে জানাবো।
১) এক মাসের রেকারিং ডিপোজিট ডিউ না মেটালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক গ্রাহককে জরিমানা করে। তবে এই জরিমানার বিষয়টি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তাই রেকারিং ডিপোজিট করার আগে সমস্ত নিয়মকানুন ভালো করে পড়ে জেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: PPF: অল্প বিনিয়োগে মোটা সুদ! কর লাগবে না এক টাকাও, PPF নিয়ে বড়োসড়ো ঘোষণা কেন্দ্রের
২) আবার যদি কোন গ্রাহক পরপর কয়েক মাস রেকারিং ডিপোজিটে অর্থ জমা না করতে পারেন। তাহলে সেই গ্রাহকের আরডি অ্যাকাউন্ট পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা তিনি যতক্ষণ না সেই পরিমাণ অর্থ মেটাচ্ছেন সেটা ততক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি বিভিন্ন ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে সময়সীমা তিন থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
৩) তবে ফ্লেক্সিবল আরডি একাউন্ট হলে এক মাসের জন্য ডিপোজিট অ্যামাউন্ট জমা নাও করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন জরিমানা দিতে লাগবে না।
রেকারিং ডিপোজিট ভিউ পেমেন্ট না করার জন্য শাস্তি এড়ানোর কি কি উপায় রয়েছে?
১) এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং ইন্সট্রাকশন ফেসিলিটি আছে। যেখানে ডিপোজিট-এর অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হয়ে রেকারিং ডিপোজিট একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
২) যদি প্রত্যেক মাসের রেকর্ডিং ডিপোজিট ডিউ পরিশোধ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রে আগে থেকে টাকা জমানো উচিত। অথবা জমানোর অর্থোর পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
৩) আর যদি ফ্লেক্সিবল রেকারিং ডিপোজিট স্কিমের টাকা জমানো হয়। সেক্ষেত্রে এক অথবা দুই মাস টাকা জমা না করলে শাস্তি মিলবে না।