ভুলে যান দার্জিলিং, একদম নামমাত্র খরচে চলে যান নাম না জানা পাহাড়ি গ্রামে, ভরে যাবে মন

নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাহাড় হোক কিংবা সমুদ্র বা জঙ্গল, বাঙালীরা বরাবরই ভ্রমণ প্রিয়। একটু সময় সুযোগ পেলেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণপিপাসুরা। সব সময় যে এক জায়গা যেতে ভালো লাগে এমনটা কিন্তু নয়। কখনো কখনো অজানা অচেনা নিরিবিলি জায়গাও পছন্দ হয় তাদের। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনে নিয়ে এসেছি একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের খোঁজ।

জায়গাটির পরিচয়: যেখানে গেলে আপনার মন একেবারে রিফ্রেস হয়ে যাবে। এই জায়গাটি কালিম্পং-এর(Kalimpong) কাছাকাছি অবস্থিত। এই জায়গাটির নাম রিকিসুম(Rikisume)। এখানে গেলে সূর্যোদয়ের দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া নানা রকমের রঙিন ফুলের বিপুল সমাবেশ রয়েছে এখানে। চারিদিকে পাইন গাছ সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে একবার গেলে বারবার যেতে চাইবেন আপনিও।

এই জায়গাটি যেমন সুন্দর তেমনি নামটিও খুব অচেনা এবং মিষ্টি। অনেকেই এই জায়গাটিকে ফুলের দেশ বলেও ডাকেন। এখানে গেলে দেখতে পাবেন রোডডেনড্রন এবং ম্যাগ্নিলিয়া ফুল চারিদিকে ফুটে রয়েছে। সে যেন এক অপরূপ দৃশ্য, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। প্রায় ৬,৩০০ ফুট উচ্চতায় এই নিঝুম এলাকায় পাহাড়ের কোলে মেঘের আনাগোনা দেখতে পাবেন। রিকিসুমে দাঁড়িয়ে আপনি ভুটান, সিকিম, তিব্বত, নেপাল এবং দার্জিলিংয়ের হিমালয়ের অনেক নামী অনামী  পাহাড় দেখতে পাবেন মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে।

কিভাবে যাবেন? আপনাকে প্রথমে এন জিপি স্টেশনে নামতে হবে। এই এন জিপি থেকে রিকিসুমের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। এখান থেকে আপনি গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারবেন। আর না হলে কালিম্পং এসে সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারবেন। বিমানে যেতে হলে আপনাকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতে হবে।

কোথায় থাকবেন?
হাতে গোনা অল্প কয়েকটা হোমস্টে রয়েছে তাই আগে থেকে বুকিং করে না গেলে অসুবিধায় পড়তে হবে। তাহলে আর দেরি না করে সমস্ত প্ল্যান করেই ফেলুন।

Avatar

Papiya Paul

X