নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতবর্ষে অতীতে ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census) হলেও করোনা মহামারীর ফলে সেটা ২০২১এ হয়নি। এর আগে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সঠিক সময় জনগণনা দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সার্বিক উন্নতির মূল্যায়নের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সেটা না হওয়ায় অনেকেই মোদী সরকারকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন। তবে এবার জানা যাচ্ছে সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৩ বছর পর শুরু হচ্ছে ভারতের জনগণনা
বিগত শনিবারেই এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ‘সঠিক সময়েই জনগণনা করা হবে। এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই তারিখ জানানো হবে।’ তবে যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই কাজের জন্য প্রায় দেড় বছরের সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ ঠিক মত কাজ এগোলে ২০২৬ সালে জানাবে ভারতের নতুন জনসংখ্যা। এর আগে ২০১১ সালে ১৫তম জনগণনা করা হয়েছিল। তবে মহামারীর কারণে ২০২১ সালের পর ২০২৩ সালে হওয়ার কথা থাকলেও ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের কারণে সেটা হয়নি।
কিভাবে হবে জনগণনা?
জনগণনার জন সরকারের তরফ থেকে হোক বা বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে কিছু এজেন্ট পাঠানো হবে। যারা পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা, আয়ের হিসাব, পেশা থেকে শুরু করে আরও একাধিক তথ্য সংগ্রহ করবে। এই সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকরের কাছে নিয়মিতভাবে জমা হতে থাকবে। তরপর সব জায়গা থেকে তথ্য পাওয়া হয়ে গেলে একত্রিত করে সেনসাস রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
কি কি প্রশ্ন করা হতে পারে?
বাড়িতে জনখন জনগগনার জন্য লোক আসবে তখন তারা যে প্রশ্ন গুলি করতে পারে সেগুলি হলঃ
- বাড়ির মোট সদস্য সংখ্যা
- পরিবারের সদস্যের নাম, বয়স লিঙ্গ
- পরিবারের সদস্যদের পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা
অনেকেই ভাবছেন হয়তো এই সময় কাগজপত্র দেখতে হতে পারে। তবে জেনে রাখুন আলাদা করে কোনো কাগজ দেখার জন্য চাওয়া হবে না। তবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখতে চাওয়া হতেও পারে।
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে টোল পেরোনোর দিন শেষ! পুরোনো নিয়ম বাতিল করল NHAI, মাথায় হাত গাড়ি চালকদের
প্রসঙ্গত, ১৮৭২ সালে প্রথম ভারতের জগণনা করা হয়েছিল ব্রিটিশ গভর্নর মায়ো এর সময়কালে। এরপর থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর আদম সুমারি হিসেবে জনসংখ্যার গণনা করা হয়েছিল। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১২১ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করেন ভারতবর্ষে। এখন অপেক্ষা ১৬তম জনগণনা শেষ হওয়ার।