বেশ কিছুদিন ধরে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। একদিকে যেমন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে মুসলমানরা তেমনি ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জায়গায় অনুষ্ঠিত করা হচ্ছে গোবর্ধন উৎসব। এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা বুধবার একটি বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি বলেন, “বিশ্বের যে কোন দেশে যদি হিন্দুরা নিজেদের অসুরক্ষিত বলে মনে করেন তাহলে অবশ্যই চলে আসতে পারবেন ভারতে। সমস্ত হিন্দুদের জন্য অবারিত দ্বার খোলা রয়েছে ভারতবর্ষে”।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “মুসলিম নেতাদের উচিত ভারতবর্ষে অবস্থিত সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া। সরকারি টাকায় চলা সমস্ত মাদ্রাসা আমি বন্ধ করে দিয়েছি আমার রাজ্যে। মাদ্রাসার বদলে চিকিৎসা কেন্দ্র এবং স্কুল খোলা উচিত যেখানে সর্বভারতীয় স্তরে মানুষ পড়াশোনা করে শিক্ষা লাভ করতে পারবে”।তিনি এও বলেন, “বিগত পাঁচ বছরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই বেড়ে গেছে। আগে অনেক অশান্তি হতো এখন সেটা হয় না। বিগত পাঁচ বছরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে অনেকটাই উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে”।
আসাম মিজোরাম সীমান্তে বিবাদ নিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস ভাগাভাগি করার সময় সীমা নির্ধারণ না করায় মাঝে মাঝে দুই রাজ্যের সীমান্ত নিয়ে বিবাদ তৈরি হতো। এই বিপদের জন্য আমরা ছয় জন পুলিশ কর্মী কে হারিয়েছি। কিন্তু তাও কোন কথা বলিনি। প্রতিবেশী রাজ্য কে আমরা কতখানি সম্মান করি তা প্রমাণ হয়ে যায় এই ঘটনা থেকে। সীমান্ত নিয়ে বিবাদে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশাকরি আগামী দিনে এই বিভাগের থাকবে না”।
দারাং জেলায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা হিন্দুদের দেশ। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ভাগ হয়েছে, কিন্তু কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই ভারতবর্ষে হিন্দুরা বসবাস শুরু করেছে”।