চীন-পাকিস্তানকে জব্দ করতে ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র আসছে ভারতীয় সেনায়

এবার লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলেছে ভারত, নিজেকে অত্যাধুনিক সমস্ত অস্ত্রে সাজিয়ে ফেলতে মরিয়া সে, কারণ বর্তমানে রাজনৈতিক অবস্থা খুবই সংকটশীল, আমরা জানি আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা তার সৈন্য সরিয়ে নেয়ার ফলে সেখানে জাঁকিয়ে বসেছে তালিবানের আধিপত্য, কিন্তু সেই দাপটকে কাজে লাগিয়ে যাতে ভারতে চীন এবং পাকিস্তান আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

তাই নিজেকে অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে, তাই জন্যই ফ্রান্স আমেরিকা রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রে নিজেকে সাজিয়ে তুলছে ধীরে ধীরে। পুরনো অস্ত্রের বদলে নতুন প্রযুক্তির অস্ত্র স্থান দিতে চাইছে নিজস্ব সেনাবাহিনীতে। তাই ভারত সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বহু মূল্যের যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছেন।

তবে মেক ইন ইন্ডিয়া এই ক্যাম্পেইন কে প্রাধান্য দিয়ে ভারত নিজস্ব যুদ্ধবিমান তৈরীর পরিকল্পনা করছে, ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রথম সারির যুদ্ধবিমান ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে হাতও মিলিয়েছে , মিরেজ ২০০০, ৬৪টি মিগ ২১ এছাড়াও জাগুয়ার ফাস্ট যুদ্ধবিমান ইত্যাদি সংগ্রহ করেছে ভারত। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ২৪০ টির সামরিক-বেসামরিক ড্রোনও রয়েছে এমনকী ইজরায়েলের হারোপ সুসাইডালও রয়েছে বেশ কয়েকটি।

তবে একথা মানতেই হবে চীনের প্রযুক্তির কাছে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে, যেটা ভারতের জন্য যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে কুড়ি বছরে ভারত ৩২৫ টি বিমান হারিয়েছে বিভিন্ন দুর্ঘটনায়। তার মধ্যে কয়েকটি আবার আকাশেই ধ্বংস হয়ে গেছে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ভারতকে এফ১৮ সুপার হর্নেট বা এফ-১৬ এর বিকল্প হিসেবে এফ২১ যুদ্ধবিমান কিনতে বাধ্য করা। তবে আমেরিকার ব্যবহারে একথা স্পষ্ট যে রাশিয়ার থেকে ভারত যে সমস্ত ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে তাতে মোটেও খুশি নয় মার্কিন প্রশাসন।

তাই ভারতের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ফ্রান্সের থেকে চতুর্থ প্রজন্মের স্কোয়াড্রন রাফাল যুদ্ধবিমান কিনে নেওয়া যা ভারতকে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দেবে অনেকটাই। এমনকি আর্থিক সুবিধাও পেতে পারে ভারত ফ্রান্সের থেকে, যা আগামী দিনে ভারতের জন্য অনেকটাই সুবিধা হতে পারে, অপরদিকে চীন যেভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে তাতে সারাবিশ্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাইছেন খুব শীঘ্রই, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে চীন।

যদিও চাইনিজ অস্ত্রের মান কিরূপ তা নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে করা হবে, তবে সামরিক অসামরিক ড্রোন স্পাই সমস্ত কিছু দিক থেকে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধবিমান দেশে নিজেকে পরিণত করে ফেলেছে। এমনকি নিজের দেশের আমদানির পরিমাণ ১০ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন, যা একপ্রকার বিশ্বের দরবারে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে

Papiya Paul

X