শ্রী ভট্টচার্য, কলকাতা: গোটা বিশ্বেই জনসংখ্যা নাকি কমছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ দাবি করেছিল যে ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছোতে ১২ বছর সময় লেগেছে। কিন্তু ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছোতে গিয়ে সেই সময় আকাশপাতাল বদলে যাবে। সময় লাগবে ১৪ বছরের বেশি, বলতে গেলে প্রায় সাড়ে ১৪ বছর। এরপর ২০৮০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটির বেশি। ভাবতে পারছেন! এমনই খাতায় এবার শীর্ষে নাম লেখালো ভারত!
জনসংখ্যার নিরিখে শীর্ষে নাম লেখাবে ভারত! Indian Population
চিনকে ছাপিয়ে ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’ এখন ভারত। ২০২৫ সালের শেষে ১৪০ কোটির ভারত ১৪৬ কোটিতে পৌঁছোবে। এমনটাই দাবি করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর। UNSP-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারত জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের শীর্ষেই থাকবে। যদিও প্রজনন কমবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
২০২৫ সালের ‘বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থা’ শীর্ষক রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে সামগ্রিক ভাবে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমবে। ‘দ্য রিয়্যাল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’ শীর্ষক অধ্যায়টিতে প্রজনন হ্রাসের কথা বলা হয়েছে। এমন সময় তাহলে ভারতের জনসংখ্যা কীভাবে শীর্ষে পৌঁছে যাবে? বা আদমশুমারি না হওয়া সত্ত্বেও, জনসংখ্যা নিয়ে এত নিশ্চিত কীভাবে হল রাষ্ট্রপুঞ্জ!
আরও পড়ুন: পাহারা দেবে কমান্ডোরা, দেশের সবথেকে সুরক্ষিত ট্রেন এখন এটিই! কম খরচে চড়তে পারবেন আপনিও
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর ভারতে জনশুমারি না হলেও ২০২৩ সালে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্তে এসেছে। সে অনুযায়ী চিনকে সরিয়ে প্রথম স্থান দখল করে ভারত। তখন ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটির সামান্য বেশি ছিল। কিন্তু সে তো গেল পুরনো রিপোর্ট। এখন নতুন রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালের মোট জনসংখ্যায় ০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ এবং ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ মানুষ বসবাস করছে ভারতে। আপনিও তাঁদের মধ্যে একজন।