ভারতীয় রেল যা আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের লাইফলাইন। ভারতে আপনার গন্তব্য যেখানেই হোক না কেন, ট্রেনের চেয়ে সস্তা এবং সুবিধাজনক আর কিছু হয়না। যাত্রীদের সবচেয়ে সেরা সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আর এই কারণেই বারংবার রেলের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। সম্প্রতি আবারও এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল কর্তৃপক্ষ যা সকলের জানা উচিত।
প্রসঙ্গত, ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে ‘দুষ্টু লোক’ মন্দার বোসের চক্রান্তে জয়সলমের যাওয়ার ট্রেন ফস্কে গিয়েছিল ফেলুদার। সেই সময় উটের পিঠে চড়ে মরুভূমির বুকে রুমাল নেড়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যদিও তিনি তাতে সফল হননি তবে রেল মন্ত্রকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ঐ ট্রেন থামলেও সেখানে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে গণ্য হতেন ফেলুদা এবং তার টিম।
রেলমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এরপর থেকে আর ছাপানো তালিকা দেওয়ার পদ্ধতিতে ইতি টানতে চলেছে রেল। এবার থেকে টিকিট পরিক্ষকদের হাতে দেখতে পাওয়া যাবে উন্নত প্রযুক্তির ট্যাব। যখনই কোনো স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে তখনই সংরক্ষিত কামরায় গিয়ে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষক। যদি কোনো কারণবশত যাত্রী নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছাতে না পারেন সেক্ষেত্রে তাকে অনুপস্থিত ধরে নিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে ওয়েটিং-এ থাকা যাত্রীদের জন্য খুলে দেবেন।
অর্থাৎ সোজা কথায় ঐ আসনটি আরএসি (রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন) কোটায় থাকা তালিকাভুক্ত যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এবং যদি দেখা যায় যে, এরপরেও আসন রয়ে গেছে সেক্ষেত্রে রিমোট লোকেশন ওয়েটিং লিস্ট বা ঐ একই ট্রেনের দূরবর্তী স্টেশনের যাত্রীরা সুযোগ পাবেন। যেমন ধরুন, হাওড়া স্টেশন থেকে দূরপাল্লার কোনও ট্রেন ছাড়ার সময় যদি দেখা যায় কোনো নির্দিষ্ট আসনের যাত্রী অনুপস্থিত আছেন সেক্ষেত্রে টিকিট সেই খবর ততক্ষণাৎ সার্ভারে আপডেট করে দেবেন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার টিকিট পরীক্ষকের হাতে পৌঁছে গেছে এই উন্নত প্রযুক্তির ট্যাব। এখনও ১৮ হাজার ট্যাব দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জানিয়ে রাখি, যদি কোনো যাত্রী তাড়াহুড়োর মধ্যে অন্য কামরায় উঠে পড়েন সেক্ষেত্রে তাকে তৎক্ষণাৎ ওই কামরার কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষককে সেটা জানাতে হবে। তিনিই সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।