পার্থ মান্নাঃ সময়ে সাথে দ্রুত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। আগে যেখানে পেট্রল আর ডিজেলের গাড়ি চলত সেখানে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রচল শুরু হয়েছে। CNG বাইকও এসেছে বাজারে। একইভাবে ভারতীয় রেলেও ক্রমে অত্যাধুনিক ট্রেন চালু হচ্ছে। যার একেবারে লেটেস্ট উদাহরণ হতে চলেছে ভারতের প্রথম হাইড্রোজে ট্রেন। সাধারণত ট্রেন চালানোর জন্য ডিজেল বা ইলেক্ট্রিকের ব্যবহার করা হয়। তবে এই ট্রেনে দুটোর কোনোটাই লাগবে না। বরং হাইড্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমেই ছবি আস্ত একটা এলাহী ট্রেন।
শীঘ্রই ভারতে ছুটবে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন
এখন প্রশ্ন হল কবে থেকে ট্র্যাকে দৌড়াবে হাইড্রোজেন ট্রেন? সেই খোঁজই মিবে আজকের প্রতিবেদনে। যেমনটা জানা যাচ্ছে জার্মানির প্রথম ট্রেনের জন্য ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। এরজন্য টিইউভি-এসইউডি নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ডিসেম্বরেই ট্রায়াল রান শুরু হবে। আর যদি ট্রায়ালে সব ঠিক থাকে থাকে তাহলে ২০২৫ নাগাদ চালু হয়ে যেতে পারে ট্রেনটি।
কিভাবে চলবে হাইড্রোজেন ট্রেন?
নতুন টেকনোলজির এই ট্রেন নিয়ে এখন থেকেই উৎসাহ জগতে শুরু করেছে সকলের মনে। জানা যাচ্ছে, হাইড্রোজেন গাসকেই জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হবে ট্রেনে। তাই ট্রেনে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল থাকবে তার থেকেই শক্তি নির্গত হবে। তবে এই ট্রেন চলার ফলে কোনো কার্বন দেয় অক্সাইড বা মার্টিকুলেট ম্যাটার নির্গত হয় না। যার ফলে এই ট্রেন পরিবেশ বান্ধব হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে রেল ‘নেট জিরো কার্বন এমিশন’ করার লক্ষে এগোচ্ছে। সেই টার্গেট পূরণ করতে এই ধরণের ট্রেন চালু হবে।
প্রথম হাইড্রোজেন চলবে কোন রুটে?
প্রথমবার হাইড্রোজেন ট্রেন চালু হলে সেটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হবে তাই কোন রুটে চলবে সেটা নিয়ে উৎসাহ থাকাটা স্বাভাবিক। যেমনটা জানা যাচ্ছে, উত্তর রেলের হরিয়ানার জিন্দ-সোনিপত রুটেই চালু হতে পারে। এছাড়াও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি রেলওয়ে, কালকা সিমলা রেলওয়ে, কাংড়া ভ্যালি, বিলমোড়া ওয়াঘাই থেকে মারওয়ার-দেওগড় মাদারিয়া রুটেও হাইড্রোজেন ট্রেন চালানো হতে পারে।
সূত্রমতে, হাইড্রোজেন ট্রেনের গতিবেন হবে ঘন্টায় ১৪০ কিমি। একবার যাত্রা শুরুর পর ১০০ কিমি পর্যন্ত যাত্রা করা যাবে। তাই শুরুতে ছোট দৈর্ঘ্যের রুটেই এই ট্রেন চালানো হবে। তবে ভবিষ্যতে সেটা আরও বাড়ানো হবে। গোটা ভারতে মোট ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে ভারতীয় রেলের। সম্পূর্ণ এই প্রজেক্টটির নামকরণ করা হয়েছে ‘হাইড্রোজেন ফর হেরিটেজ’।