নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রত্যেক পিতা-মাতাই তার সন্তান জন্মের পর সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য নানা রকমের চেষ্টা করে থাকেন। এক্ষেত্রে সন্তানের জন্য এমন স্কিমে বিনিয়োগ(Investment) করতে চান যে স্কিমে অর্থ নিরাপদ থাকার পাশাপাশি বেশ মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সন্তানের জন্য পিপিএফ অ্যাকাউন্টে(PPF Account) অর্থ জমা করা যেতে পারে।
এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হলো একটি সরকারি প্রকল্প। যেটিতে ১৫ বছর পর ম্যাচুরিটি হয়। এই স্কিমে বার্ষিক সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যেতে পারে। বর্তমানে এই স্কিমে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এতে আপনি এই স্কিমের মাধ্যমে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারেন।
এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি কি নিয়ম রয়েছে?
পিপিএফ একাউন্ট খোলার জন্য কোন নূন্যতম বয়স নেই। এটি জন্ম থেকে যেকোনো সময় খোলা যেতে পারে।
বাচ্চাদের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট তাদের বাবা-মা খোলেন। এতে টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ১৮ বছর বয়সের পরেই শিশুর তার নিজের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারে এবং এখানে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।
এখানে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড়েরও বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: Investment: এই স্পেশ্যাল স্কিমে মাসে মাসে ৫০০০ টাকা দিলেই রিটার্ন মিলবে ২৬ লাখ টাকা!
কিভাবে আবেদন করবেন?
এক্ষেত্রে আপনি ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেখানে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ফর্ম পাওয়া যায়। প্রথমত আপনাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পিপিএফ ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আকারে ছবি এবং সন্তানের পিতা-মাতা বা আইনি অভিভাবকের কেওয়াইসি নথি ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এর সাথে শিশুর বয়সে সার্টিফিকেট লাগবে।
আপনি বাচ্চার আধার কার্ড, হাসপাতাল থেকে জন্মের শংসাপত্র বা অন্য কোন সরকারি স্বীকৃত জন্ম তারিখের প্রমাণ জমা দিতে পারেন। এগুলো যাচাই করার পর শিশুর নামে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এখন ব্যাংকে অনলাইনে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা শুরু হয়েছে।
এই একাউন্টের সব থেকে ভালো সুবিধা হলো, মাঝারি মেয়াদের সময় আপনার সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য অর্থ প্রয়োজন হলে আপনি এই পিপিএফ অ্যাকাউন্টটি মেয়াদ পূর্তির আগেই বন্ধ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে শিশুর অভিভাবকদেরও কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার এই সুবিধাটি একাউন্টে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই পিতা মাতার জন্য উপলব্ধ রয়েছে।