নিউজ শর্ট ডেস্ক: কারো বয়স তিন মাস তো কারো টেনেটুনে ৬ মাস। এর বেশি কোন সিরিয়ালই এখন টিকতে পারছে না বাংলা টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু এই ট্রেন্ডের মধ্যে থেকেও এক ঝাঁক নতুন সিরিয়ালের ভিড়ে বিগত প্রায় দু বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে জি বাংলার (Zee Bangla) সুপার হিট বাংলা সিরিয়াল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagadhatri)। এই মুহূর্তে এই সিরিয়ালটি টেলিভিশনের পর্দায় সবচেয়ে পুরনো সিরিয়াল।
জনপ্রিয়তা নিরিখে পর্দার এই জ্যাস সান্যালের আশেপাশে নেই কেউই। দর্শকদের ভালোবাসায় প্রথম থেকেই এই সিরিয়ালটি টিআরপি তালিকাতেও ফাটাফাটি স্কোর করে আসছে। পর্দায় জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাসের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা মল্লিক (Ankita Mallick)। আর তাঁর বিপরীতে স্বয়ম্ভূর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়কে।
পর্দায় এই জ্যাস স্বয়ম্ভূর জুটিও দর্শকমহলে দারুন হিট। তবে বিগত দুই সপ্তাহ টিআরপি (TRP) নিম্নমুখী জগদ্ধাত্রীর ম্যাজিক।জী বাংলার অন্য দুই জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু এবং ফুলকির কাছে হেরে তৃতীয় স্থান দখল করেছে জগদ্ধাত্রী। বেঙ্গল টপারের সাথে জগদ্ধাত্রী নম্বরের ব্যবধান খুব বেশি না হলেও পরপর দুবার সেরার মুকুট হাতছাড়া হওয়ায় বেশ চিন্তায় এই সিরিয়ালের অনুরাগীরা।
তবে কি দর্শকরা ধীরে ধীরে এই আগ্রহ হারাচ্ছেন জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের ওপর থেকে? সম্প্রতি এ প্রসঙ্গেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খোদ জগদ্ধাত্রী অভিনেত্রী অঙ্কিতা। টিআরপি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী এদিন বলেছেন ‘আমাদের সিরিয়ালটা প্রায় দু-বছর হতে চলল। লম্বা সময় ধরে আমরা যে এত ভালোবাসা পেয়েছি সেটা নিয়ে আমরা যথেষ্ট খুশি, এর বাইরে বেশিকিছু বলার নেই। টিআরপি বাড়বে-কমবে। জীবনে সবসময় আমরাই বেঙ্গল টপার থাকব সেটা তো সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: জি বাংলা ছেড়ে জলসায় ফিরছেন ইচ্ছে পুতুলের মেঘ! ধারাবাহিকের প্রথম পোস্টার দেখেই শোরগোল
তবে এখনই লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ছেন না অভিনেত্রী। তাই এদিন সেইসাথে অঙ্কিতার আরও সংযোজন ‘মানুষ এতদিন পরেও এত ভালোবাসা দেখাচ্ছে, এত সময় দিয়েছে… দর্শকরা একটা এপিসোডও মিস করতে পারে না এখনও। তবুও এর মধ্যে কিছু দর্শক চ্যানেলটা ঘুরিয়ে নতুন গল্পও দেখবে। একটু আগেরটা দেখবে, তবুও এমন অনেক দর্শক রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র জগদ্বাত্রী দেখেন। আমাকে অনেকেই বলেছেন, এই সিরিয়ালটা সকলে মিলে বসে দেখা যায়। জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালটা একসঙ্গে বসে দেখা যায়, এই সিরিয়ালে কোনও কূটকচালি নেই, কোনও পরকীয়ার গল্প নেই’।