কলকাতার চার বন্ধুর পালামৌ ভ্রমণের কাহিনিকে গল্পের আকারে তুলে ধরেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই গল্পতেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জাদু দিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সৃষ্টি হয়েছিলো এক কালজয়ী সিনেমা ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিকে ম্যাজিক বললেও কম বলা হয়।
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে, সেই ম্যাজিককেই আবারও পর্দায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে টলি পাড়ার কলাকুশলীরা। সৌজন্যে পরিচালক অরুণ রায়। ‘আট বারো’, ‘হীরালাল’ ছবির পরিচালক এখন ‘বাঘাযতীন’ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও নতুন প্রোজেক্টের ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি।
দেবের সাথে ‘বাঘাযতীন’-এর পর কাল্ট ক্লাসিক ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ নিয়ে হাজির হবেন আবার। সূত্রের খবর এই ছবিতে অভিনয় করবেন ‘জিতু কামাল’। জিতু যে সত্যিই কামাল দেখিয়ে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ছোটো পর্দা দিয়ে শুরু করলেও বড়ো পর্দায় বেশ ভালোই কব্জা জমিয়েছেন তিনি।
প্রথমে ‘অপরাজিত’তে সত্যজিতের ছায়া হয়ে তারপর ‘তিতুমীর’ ছবির কাজে বেজায় ব্যস্ত এখন। এরই মাঝে চমকপ্রদ প্রোজেক্ট। ইন্ডাস্ট্রিতে তার দর যে দিনদিন বেড়েই চলেছে তা তো স্পষ্ট। একটার পর একটা অনবদ্য প্রোজেক্ট পায়ে হেঁটে আসছে তার কাছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী অরণ্যের দিনরাত্রি ছবিতে অসীম চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
এখন ১৯৭০ সালের গল্প ২০২২ সালের দর্শকদের কতটা প্রভাবিত করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এই প্রসঙ্গে পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি গল্পের নির্যাস নিয়ে আজকের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করবেন ছবি। পাশাপাশি ৫২ বছর আগেকার এই ছবিকে পর্দায় তুলে ধরা বেশ চ্যালেঞ্জিংও বটে।
তবে পরিচালকের বিশ্বাস, অসীম, হরি, সঞ্জয় এবং শেখর – এই চার বন্ধুকে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করবে না দর্শকমহল। যদিও তিনি ফ্রেম টু ফ্রেম কপি করতে চান না। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই ছবির চিত্রনাট্য লেখা হবে। ছবিতে জিতু কামালের পাশাপাশি থাকছেন সোহিনী সরকার, কিঞ্জল নন্দ, অনুষ্কা চক্রবর্তী, অর্ণ দাস-সহ আরও অনেকেই। সত্যজিতের পর অরুনের তৈরি ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দর্শকদের মনে কতটা দাগ কাটে সেটাই দেখার।