টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র। একের পর এক সুপারহিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের। কেবলমাত্র অভিনেতা নয় তাঁকে দেখা গেছে বাবার চরিত্রেও। তবে প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee)- এর বিরুদ্ধে অনেকেই কেরিয়ার নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন। সেই তালিকাতে যেমন রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র(Sreelekha Mitra), তেমনই রয়েছেন প্রতিভাবান বহু অভিনেতাই। এমনকি সেই তালিকায় নাকি নাম রয়েছে যীশু সেনগুপ্তেরও (Jisshu Sengupta)।
টলিউডের গন্ডিতে আটকে থাকেননি তিনি। ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন বলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও। খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘শকুন্তলা’। ইন্দ্রের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতাকে। তবে টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, একটা সময় নাকি তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করতে চেয়েছিলেন সকলের প্রিয় বুম্বাদা।
বাবা বিশ্বজিৎ চট্ট্যোপাধ্যায় রাজত্ব করেছেন বলিউডে। কিন্তু সেদিকে পা না বাড়িয়ে টলিউডেই নিজের রাজপাট বিস্তার করেছেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বহুবার উঠেছে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায় একটা সময় নাকি যীশুকে নিজের ভাই বানিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। এও শোনা যায়, তিনি নাকি কখনই চাইতেন না যীশু অভিনেতা হোক।
যদিও বুম্বাদার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেলনি যীশু। বরং অভিনেতার কানে এসেছিল এ কথা। বনি সেনগুপ্তের একটি শো-তে এসে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। অভিনেতা সাফ জানিয়ে দেন বুম্বাদা বরাবরই তাঁর বড় দাদা হয়ে থাকবে। তা সে অনস্ক্রিন হোক অথবা অফস্ক্রিন। কখনই বদলাবে না তাঁদের সম্পর্ক।
তিনি আরও জানান, প্রসেনজিৎ কখনই চাননি তাঁর কেরিয়ার নষ্ট করতে। বরং তাঁকে দেখে বহু কিছু শিখেছেন যীশু। একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন যীশু। বলেন, ‘এমন একটা সময় গেছে যখন আমার দুটো শুটিং এর সময় একসঙ্গে পরে গেছিল। কিভাবে ম্যানেজ করব বুঝতে পারছিলাম না। ভেবেছিলেম ইতি পরে যাবে আমার কেরিয়ারে।
তখন আমি প্রসেনজিৎ দার পায়ে পরে যাই। তিনি সমস্ত কথা শোনার পর অনুপবাবুকে ফোন করে সমস্ত বিষয়টা সামলে নেন’। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে যীশুর কেরিয়ার শেষ করার যে গুঞ্জন উঠেছিল তা একদমই মিথ্যা।