স্টাইল এবং সৌন্দর্যই কি টলিউড (Tollywood) বা (Bollywood) অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তার সেরার তালিকায় থাকার অন্যতম রেসিপি? উত্তরটা অবশ্যই হ্যাঁ। আজও নায়িকা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ফর্সা এবং স্লিম চেহারাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের বডি শেমিং আরো বেশি হত। এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন কাজলও (Kajol Devgan)।
অজয় পত্নী যখন বলিউডে পা রেখেছিলেন তখন তার গায়ের রঙ ছিল অনেকটাই চাপা। শরীরের মেদ স্পষ্ট ধরা পড়ত ক্যামেরায়। সেইসময় বহুবার বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তার গায়ের রঙ থেকে শুরু করে শারিরীক গঠন, সবকিছু নিয়েই কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল তাকে। ভেঙে দিতে চেয়েছিল তার মনোবল।
সেই সময় অনেকেই বলেছিলেন যে, কাজল হয়ত এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বেশিদিন টিকতে পারবেনা। তথাকথিত নায়িকা সুলভ চেহারা না থাকলে বলিউডে নাম করা যায় নাকি? এহেন হাজারো প্রশ্ন তুলেছিল মানুষ। তবে এই সমস্ত প্রচলিত মিথ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন কাজল।
ঐ গায়ের রঙ আর ঐ চেহারা নিয়েই একের পর এক ব্লকব্লাস্টার ছবি উপহার দিয়ে গেছেন তিনি। গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। কারণ ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার আসল যে মশালা, তা হল অভিনয়। আর এই গুণটা তার মধ্যে শুরু থেকেই ছিল। এই একটা বিষয়কে হাতিয়ার করেই নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দেন তিনি।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই কাজল হয়ে ওঠেন বলিউডের এক নম্বর নায়িকা। আজও বক্স অফিসে তার চাহিদা তুঙ্গে। এখন যদিও অনেকটাই বদলে গেছে নায়িকার চেহারা। এটা নিয়েও কম কথা শুনতে হয়নি যদিও। নেটিজেনদের বক্তব্য, কাজল নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করে তার গায়ের রং আর চেহারায় পরিবর্তন এনেছেন।