নিউজশর্ট ডেস্কঃ শুরু থেকেই দারুন চর্চায় রয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকে শিমুলের (Shimul) চরিত্রের মধ্যে দিয়ে লেখক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায় তুলে ধরেছেন বিয়ের পর সমাজের মেয়েদের যে ধরনের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তার একেবারে বাস্তব ছবি।
যদিও সিরিয়ালের শুরুতেই এই ধরনের গার্হস্থ্য হিংসা, দাম্পত্য কলহ কিংবা বধূ নির্যাতনের ঘটনা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল দর্শকদের। এমনকি অনেকে সিরিয়ালটিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে এই সিরিয়াল টিকেই দর্শকরা ভালবাসা দিচ্ছেন দুহাত ভরে।
সাধারণত বাংলা সিরিয়াল গুলিতে এই ধরনের সাংসারিক কুটকচালি কিংবা শ্বাশুড়ি বৌমার দ্বন্দ্ব দেখে অনেকেই বলেন এখনকার দিনে মেয়েদের ওপর এই সমস্ত অত্যাচার হয় না। কথাটা যেমন একদিক দিয়ে যেমন ঠিক তেমনি এক্ষেত্রে দ্বিমতও রয়েছে। তাই এই ধরনের ঘটনা যে এখনও ঘটে তার প্রমাণ মেলে রোজকার সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল গুলিতে। বাস্তবে আজও দেখা যায় বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের সাথে ঘটে চলা অমানুষিক নির্যাতনের ছবি।
অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটে যখন স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজন বউ পিটিয়ে খুন করে ফেলে। আবার অনেকে অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজেই আত্মহত্যা করে। আর এই বাংলা সিরিয়ালে শিমুলের স্বামী পরাগকে (Porag) সমানে উস্কানি দিয়ে চলেছে তার দেওর পলাশ (Polash)। ইতিপূর্বে পলাশের উস্কানিতে পরাগ একাধিকবার শিমুলের গায়ে হাত তুলেছে। পলাশ মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে পুরুষদের পায়ের তলায় থাকার জন্য। কোন মেয়ে মাথা তুলে দাঁড়ালে তা সে সহ্য করতে পারে না।
গত পর্বেই দেখা গিয়েছে দুর্গা পুজোর মন্ডপে দাঁড়িয়ে পলাশ পরাগগকে বলছে ‘বউরা কথা না শুনলে তাদের পেটানো উচিত। বেশ করে যে সমস্ত স্বামীরা এবং পরিবারের লোকেরা বউ পেটায়।’ পলাশের এই মন্তব্য শুনে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অনেকে আবার ট্রোল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ‘সম্পর্কে শিমুলের দেওর হলেও এবারের জি বাংলার সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডে পলাশের সেরা ননদের অ্যাওয়ার্ড পাওয়া উচিত।