নিউজশর্ট ডেস্কঃ জি বাংলার(Zee Bangla) অন্যতম চর্চিত এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Kotha), এখানে বিয়ের পর একজন মেয়েকে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা তুলে ধরা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে মেয়েদের জীবনের বাস্তব পরিস্থিতি দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন নির্মাতারা। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে শিমুলকে। বারে বারে সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও একই পরিস্থিতি হচ্ছে তার.
এমনকি তার স্বামী পরাগ রোজ রাতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। বিয়ের পরেও মহিলারা যে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে তা প্রথমবার কোন ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে। পরাগ বহুবার শিমুলের ওপর গায়ে হাত তোলে, তাই অবশেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পুলিশের সাহায্য নেয় শিমুল। কিন্তু মেয়েদের জন্য বাস্তবে যতই আইন থাকুক না কেন সেই আইন মেয়েরা নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারে না।
ঠিক যেমন পুলিশ শিমুলের কথায় বাড়ি এসে পরাগকে জেরা করলে পরাগ তখন বলে শিমুল তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় সে তার গায়ে হাত তুলেছে। তখন পুলিশ শুধুমাত্র পরাগকে বারণ করে তার বিরুদ্ধে কোন বড় স্টেপ নেয় না। ঐদিকে আবার শতদ্রু শিমুলকে বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু শিমুল এখনো চায় যে পরাগ সব ভুল বুঝুক, সে নিজেকে শুধরে নিক। কিন্তু পরাগ এমনটা করবে না।
আর তাই এবার নিজের শরীর থেকে পরাগের সব চিহ্ন মুছে ফেলল শিমুল। লাল শাড়ির বদলে শিমুল এবার পড়েছে সাদা শাড়ি। হাতে নেই কোনো শাখা, পলা, কপালে নেই কোনো সিঁদুর। তাহলে কি সত্যি শিমুল পরাগের কাছ থেকে সরে আসলো? আসলে এরকম কিছুই হয়নি। অভিনেত্রী তার নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি অফ হোয়াইট ডিজাইনার শাড়ি পরে ছবি দিয়েছেন। যা দেখে অনুরাগীরা প্রথমে বুঝতে ভুল করেছেন।
