নিউজ শর্ট: এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত চর্চিত একটি বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকে নায়িকা শিমুলের (Shimul) চরিত্রে মানালি দের অভিনয় ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। পর্দায় তাঁর বিপরীতে পরাগ (Porag) চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায়কে। ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা শিমুল-পরাগ ছাড়াও অল্পদিনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই সিরিয়ালের আরও একাধিক চরিত্র। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন শিমুলের শ্বাশুড়ি মধুবালা (Madhubala)।
ধারাবাহিকে এই চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তী। সিরিয়ালটি শুরু থেকে যারা দেখছেন তারা জানেন প্রথম দিকে শিমুলের শ্বাশুড়িও শিমুলের ওপর কম অত্যাচার করেননি। তিনি নিজের বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি এসে যে ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তাই তিনি করতে শুরু করেছিলেন শিমুলের সাথেও।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শিমুলের প্রতি মন গলেছে মধুবালার। কথায় আছে ‘মেয়েরা মায়ের জাত’। তাই শিমুলের কুটনি শ্বাশুড়ি মধুবালার এই মমতাময়ী রূপ দেখে ভীষণ খুশি হয়েছেন দর্শকরা। বাস্তবে দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও এখনও এই সিরিয়ালে রয়েছে দুর্গা পুজোর রেশ। আজকের পর্বেই এই ধারাবাহিকে বিজয় দশমী দেখানো হবে।
বিজয় দশমীর দিন বিধবা শ্বাশুড়িমাকে দিয়ে মা দুর্গার বরণ করিয়ে সমাজের প্রচলিত প্রথায় সমূলে আঘাত করবে শিমুল। কিন্তু বিধবা মা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে যাওয়ায় তাকে বাধা দিতে এগিয়ে আসবে পরাগ-পলাশ। তখন তাদেরকে শায়েস্তা করতে দেবী দশভূজার হাত থেকে ত্রিশূল নিয়ে তেড়ে আসবে শিমুল।
এদিন পরাগ-পলাশ মধুবালার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে গেলে শিমুল মধুবালার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে হুংকার দিয়ে জানায় ‘তাকে যেন না রাগানো হয়!’ পরাগকে ধিক্কার জানিয়ে শিমুল বলে ওঠে ‘কেউ এক পাও এগোবে না। এই নাকি স্কুল শিক্ষক। এদিকে নিজেরই এত শিক্ষার অভাব।’
এরপর প্রতীক্ষা আর পলাশকে এক হাত নিয়ে শিমুল বলে ওঠে ‘আর প্রতীক্ষা! সেতো শিক্ষিত চাকরি করা মেয়ে। এরপরেও এমন সংস্কার নিয়ে পড়ে আছে সে ভেবেও লজ্জা লাগে ছি। আর পলাশ তো যেকোনো সময় যে কাউকে খুন করে দিতে পারে। এখান থেকে চলে যাও তোমরা এখনই চলে যাও।’ এরপর দেখা যাবে মধুবালা মাকে বরণ করে আর অতীতের কথা ভাবতে থাকে। সেইসাথে শিমুল তাকে তার এতদিনের না পাওয়া হাসি আনন্দ ফিরিয়ে দেওয়ায় সে শিমুলের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানায় মা দুর্গাকে।