৮০ এবং ৯০ এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় এবং খ্যাতনামা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন জয়া প্রদা। ফিল্মি কেরিয়ারে একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। রাজেশ খান্না থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন, হেন কোনো তারকা নেই যার সাথে কাজ করেননি তিনি। কিন্তু যদি ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলি, তাহলে তা খুববেশি সুখকর ছিল কি?
অভিনেত্রীর কর্মজীবন যে দারুণ সাফল্যমণ্ডিত তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে ব্যক্তিগত জীবন আবার ঠিক তার উল্টো। বিশেষ করে বৈবাহিক জীবনের কথা বললে, সেখানে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। আজকের প্রতিবেদনে নায়িকার জীবনের এমনই কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরবো পাঠককুলের সামনে।
কথা হচ্ছে সেই সময়ের কথা যখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গেছিলেন এই অভিনেত্রী। ঐ একই সময়ে তার জীবনে কড়া নাড়ে তার প্রথম প্রেম। এই ব্যক্তি আর কেউ নন, বলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্রীকান্ত নাহাটা। বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হয়ে সম্পর্ক গড়ায় প্রেম অবধি। দুজন দুজনকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন সেই সময়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সমস্যা কী ছিল? আসলে শ্রীকান্ত জয়ার প্রেমে পড়লেও তিনি আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তার ৩ টি সন্তানও ছিল। যদিও দ্বিতীয় বিয়ে বলিউডে খুব একটা বড়ো ব্যাপার নয়। তবে তা যদি প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই করা হয় তাহলে অবশ্যই তা বড়ো ব্যাপার।
আর ঠিক এই কান্ডটিই ঘটিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই বিয়ে করে বসেন জয়াকে। পরবর্তীকালে যার মর্মান্তিক ফল ভোগ করেন জয়া। তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি কী ঘটে চলেছে তার জীবনে। একদিকে একটার পর একটা ফ্লপ ছবি অপরদিকে বৈবাহিক জীবনের টানাপোড়েন।
আসলে শ্রীকান্ত জয়াকে বিয়ে করেছিলেন ঠিকই কিন্তু কোনোদিনই সংসার করেনি তার সাথে। তার বিয়ে হয়ে গেলেও স্বামী থাকতো তার প্রথম স্ত্রীর কাছেই। অর্থাৎ বিয়ে হয়ে গেলেও একজন স্ত্রীর মর্যাদা কোনোদিনই জোটেনি জয়ার কপালে। এতে তিনি এতটাই আঘাত পান যে, বাকি জীবনটা একাই কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। না তিনি আর বিয়ে করেছিলেন আর না শ্রীকান্তের কাছে নিজের অধিকার দাবি করেছেন।