নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে ব্যাঙ্ক হোক কিংবা পোস্ট অফিস (Post Ofiice) প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলিতেই বিভিন্ন ধরণের লাভজনক প্রকল্প রয়েছে। তবে পোস্ট অফিসে টাকা জমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু। বিশেষ করে এটি সরকার দ্বারা পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখানে বিনিয়োগ করা অনেক বেশি নিরাপদ এবং ঝুঁকিহীন।
সেইসাথে পাওয়া যায় নিশ্চিত রিটার্ন। পোস্ট অফিসের বহুল জনপ্রিয় এমনই একটি স্কিম হল পিপিএফ স্কিম অর্থাৎ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম (Public Provident Fund)। এই স্কিমে বছরে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ম্যাচুরিটির পর দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়া যায়।
আসুন পোস্ট অফিসের এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। এমনিতে যে-কোনো পোস্ট অফিসেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এছাড়াও সরকার স্বীকৃতব্যাঙ্ক গুলিতেও এই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এই ধরনের প্রকল্পে সিঙ্গেল অথবা দুজন কিংবা তিন-জনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট-ও খোলা যেতে পারে।
জানলে অবাক হবেন পোস্ট অফিসের এইপিপিএফ স্কিমের প্রতি বছর সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা আর সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে ৭.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য স্কিমের মতো এই স্কিমেও নমিনি রাখা যায়। এই স্কিমের ম্যাচুরিটির সময়কাল ১৫ বছর। শুধু তাই নয় এই স্কিম থেকে মাত্র ১ শতাংশ সুদে লোন-ও নেওয়া যেতে পারে। পিপিএফ স্কিমে টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার আগেই নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে টাকা তুলে নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা ছাড়ুন, এই পলিসিতে টাকা রাখলে প্রচুর বেনিফিট আপনার
পোষ্ট অফিসের এই স্কিমে প্রতিবছর ৫০০ টাকা জমা করলে ১৫ বছরে মোট জমানো টাকার পরিমাণ হয় ৭,৫০০ টাকা। আর এই টাকা জমালে সুদ হিসাবে পাওয়া যায় ৬,০৬১ টাকা। এইভাবে ১৫ বছর ধরে ৫০০ টাকা করে জমালে হাতে আসে মোট ১৩,৫৬১ টাকা।
একইভাবে এই স্কিমে ১৫ বছর ধরে প্রত্যেক বছরে কেউ যদি সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকা করে জমাতে পারেন তাহলে তার জমা করা টাকার পরিমাণ হবে ২২,৫০,০০০ টাকা। আর এই টাকার ওপর তিনি সুদ পাবেন মোট ১৮,১৮,২০৯ টাকা। এরফলে ১৫ বছর শেষে তার হাতে আসবে মোট ৪০,৬৮,২০৯ টাকা।
বিনিয়োগের বোনাস টিপস
পোস্ট অফিস পিপিএফ স্কিমে যিনি প্রতিমাসে টাকা জমা করবেন তিনি যদি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে টাকা জমা করতে পারেন তাহলে বেশি রিটার্ন পাবেন।
যিনি বছরে ৪ বার টাকা জমা করবেন তিনি যদি বছরের জানুয়ারি, জুলাই, এপ্রিল এবং অক্টোবরের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্য টাকা জমা তাহলে অধিক রিটার্ন পাবেন তিনি।
এছাড়া বছরে দুবার টাকা জমা করলে এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে টাকা জমা করলে বেশি রিটার্ন পাবেন।
আর যিনি বছরে একবার টাকা জমা করবেন তিনি এপ্রিল মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্য টাকা জমা করলে বেশি রিটার্ন পাবেন।