নিউজ শর্ট ডেস্ক: দেশ জুড়ে প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সকলেরই। বিশেষ করে এবছর কলকাতায় রেকর্ড গরম পড়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজ্যবাসীর। তাই এই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে ক্ষণিকের জন্য হলে স্বস্তি পেতে এসির পাশাপাশিই ফ্যান চালিয়ে রাখছেন অনেকে।
এর ফলে অহেতুক চাপ পড়ছে ফ্যানের ওপর। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের বিলও। কিন্তু এই গরমে প্রত্যেকের বাড়িতে যে ফ্যান রয়েছে সেই ফ্যান থেকে যথেষ্ট কুলিং পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সমস্যা দূর করতেই এবার বাজারে এসে গিয়েছে বিএলডিসির ফ্যান (BLDC Fan)।
এই ধরনের ফ্যান শুধু ভালো কুলিংই দেয় না, সেইসাথে সাশ্রয় করবে বিদ্যুৎ খরচ-ও। সাধারণত সিলিং ফ্যান (Ceiling Fan) গুলি ব্রাশলেস ডিসি মোটর দিয়ে তৈরি হয়। এই ডিসি মোটর এবং বিএসএলডিএস এর মোটর এর মধ্যে রয়েছে বিরাট পার্থক্য। কারণ এই ধরনের সিলিং ফ্যানে থাকে উন্নত মানের স্থায়ী ম্যাগনেট।
যার ফলে খুব বেশি হিট এর থেকে জেনারেট হতে পারে না। অন্যদিকে সাধারণ সিলিং ফ্যানে ফ্রিকশন হওয়ার জন্য প্রচন্ড পরিমাণে হিট তৈরি হয়ে থাকে। এই কারণেই ইদানিং এই BLDC ফ্যানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তবে বেশিরভাগ বাড়িতে এখন যে সিলিং ফ্যান রয়েছে সেগুলি ব্রাশলেস ডিসি মোটর দিয়ে তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকেই নেমেই পাবেন রাজকীয় হোটেল! জলের দরে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে IRCTC
আর এই ডিসি মোটর এবং বিএলডিসি মোটরের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ডিসি মোটরের ফ্যানগুলি থেকে গড়ে বিদ্যুৎ খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ ওয়াট। কিন্তু জানলে অবাক হবেন বিএলডিসি ফ্যান মাত্র ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ করে। তাই বিএলডিসি ফ্যান ব্যবহার করলে বছরে প্রায় ১৬০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
যে কোন সাধারণ ফ্যান ১ স্পিডে চালালে খরচ হয়ে থাকে প্রায় ১৮ ওয়াট শক্তি। কিন্তু এই বিএলডিসি ফ্যান ১ স্পিডে চালালে মাত্র ৮ ওয়াট শক্তি খরচ হয়ে থাকে। পাশাপাশি যদি কোন সাধারণ ফ্যান ৫স্পিডে চালানো হয় তাহলে ৭৮ ওয়ার্ড শক্তি খরচ হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিএলডিসি ফ্যান থেকে মাত্র ৩০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি খরচ হবে।
তাছাড়া এই গরমে প্রত্যেকের বাড়িতে এখন একটানা ফ্যান চলবে। যার ফলে মাসের শেষে বিদ্যুতের বিলও আসবে অনেকখানি। তাই অপ্রয়োজনীয় খরচের হাত থেকে বাঁচার জন্য এখনকার দিনে সব থেকে বড় বিকল্প হল এই বিএলডিসি ফ্যান। তবে শুধু বিদ্যুতের খরচই নয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ফ্যান লাগালে শব্দ-ও অনেক কম হয়ে থাকে।
কারণ আগেই বলেছি এই ফ্যানে ব্রাশলেট প্রযুক্তি থাকে। তাই এই ফ্যানের কুলিং করার ক্ষমতাও অনেক বেশি। গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে সাধারণ ফ্যান থেকে বছরে ১.৬ টন কার্বন তৈরি হয়। কিন্তু বিএলডিসি ফ্যান থেকে ৬০ শতাংশ কম কার্বন তৈরি হয়। বিদ্যুতের খরচ বাঁচানোর জন্যই শুধু নয়, ভালো কুলিং পাওয়ার জন্য-ও অনেকেই বিএলডিসি ফ্যান ব্যবহার করছেন। এই ফ্যানে উন্নত প্রযুক্তির পাওয়ার সেভিং মোড অন করে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানো যায়। পাশাপাশি এই ফ্যানে রয়েছে রিমোট কন্ট্রোলের সুবিধাও।