নিউজশর্ট ডেস্কঃ বিমান যাত্রা(Flight Route) এক অন্যতম উন্নত যাত্রাপথ। দেশ বিদেশে অল্প সময়ে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এই বিমানপথ। কিছু কিছু জায়গায় আবার বিমানই যাতায়াতের একমাত্র পথ। যেমন ভারত থেকে অ্যামেরিকায় যাওয়ার একমাত্র পথ হল আকাশপথ। এই অ্যামেরিকা থেকে ভারতের দূরত্বও যথেষ্ট। এই আমেরিকায়ে যাওয়াটাও মুখের কথা নয়। এক কথায় সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে পৌঁছতে হয় এই স্থানে।
এছাড়াও দুনিয়ায় রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম বিমান পথ। তবে আজ আপনাদের এই প্রতিবেদনে আমরা জানাবো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র বিমান পথ সম্পর্কে। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ, ক্ষুদ্রতম লেক ও ক্ষুদ্রতম মোবাইলের পর এবারে আজ সন্ধান দেব ক্ষুদ্র বিমানপথের। বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইটের কথা অনেকই জানেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিমানপথের সময় লাগবে ২০ ঘন্টা। তবে দুনিয়াতে এমনই এক বিমানপথে রয়েছে যেখানে আপনি কাটাবেন ১ মিনিটেরও কম সময়। অবিশ্বাস্য লাগলেও এটি সত্যি। আসুন জেনে নিই এই বিমানও তার যাত্রা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য।
বিশেষ এই বিমান মূলত চলাচল করে দুটি দ্বীপের মধ্যে। গোটা যাত্রাপথটিতে সময় লাগে মাত্র ৫৩ সেকেন্ড। বিশ্বের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ এই বিমানপথটি। তবে এই সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথের ভাড়া শুনলে কপালে চোখ উঠবে আপনারও। তবে এর যা ভাড়া তাতে অনায়াসেই আপনি পৌঁছতে পারেন ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।
এই ছোট্ট যাত্রা পথে যাওয়ার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১৩৮৭ টাকা। অনেকেরই প্রশ্ন এত কম যাত্রাপথও কেন এত ব্যয়বহুল ? আর তারা বিমানেই বা কেন যায়?, তবে আসল উত্তর হল বিমান ছাড়া এই দুই দ্বীপের মধ্যে সংযোগ করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এখানের মানুষদের বাধ্য হয়েই সাহায্য নিতে হয় বিমানের।
এইসব দ্বীপগুলি যথেষ্ট অনুন্নত। সভ্যতা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। এই দ্বীপের মধ্যে নেই কোন সেতু, এমনকি সমুদ্রপথে পাথুরে থাকায় চলতে পারে না কোন নৌকাও। এমন পরিস্থিতিতে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাওয়ার জন্য বিমান ছাড়া মানুষের আর কোনো উপায় নেই। গত ৫০ বছর ধরে লোগান এয়ার নামে একটি কোম্পানি এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।