নিউজশর্ট ডেস্কঃ যতদিন এগোচ্ছে ততই জমির দাম বেড়ে চলেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে জমি কেনা দুষ্কর হয়ে উঠছে। আর এবার বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে যা শুনলে ভয় ধরবে আপনারও। বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের(India) নাগরিকদের থাকার চাহিদা মেটানোর জন্য অতিরিক্ত ৪০ থেকে ৮০ লক্ষ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে জমির দাম কি হারে বাড়তে চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে যে ভারতের সবথেকে বড় জমির মালিক কে? ভারতে কার সব থেকে বেশি জমি রয়েছে? এক্ষেত্রে উত্তর হবে ভারত সরকার। গভর্নমেন্ট ল্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত সরকারের কাছে প্রায় ১৫,৫৩১ বর্গ কিলোমিটার জমি রয়েছে। এই জমি ৫১ টি মন্ত্রণালয় এবং ১১৬ টি পাবলিক সেক্টরের মালিকানাধীন রয়েছে।
এবার আপনারা জানলে আশ্চর্য হবেন যে বিশ্বের কমপক্ষে ৫০ টি দেশ রয়েছে যেই দেশগুলোর আয়তন ভারত সরকারের মালিকানাধীন জমির আয়তনের চেয়ে ছোট। চলুন তাহলে সেরকমই বেশ কিছু দেশের আয়তন সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাই।কাতার (১১৫৮৬ বর্গকিলোমিটার), বাহমস (১৩৯৪৩ বর্গকিলোমিটার), জামাইকা (১০৯৯১ বর্গকিলোমিটার), লেবানন (১০৪৫২ বর্গকিলোমিটার), গাম্বিয়া (১১২৯৫ বর্গকিলোমিটার), সাইপ্রাস (৯২৫১ বর্গকিলোমিটার), ব্রুনাই (৫৭৬৫ বর্গকিলোমিটার), বাহরিন (৭৭৮ বর্গকিলোমিটার), সিঙ্গাপুর (৭২৬ বর্গকিলোমিটার) সহ আরও অনেক দেশ।
এছাড়া ভারতের রেলের মন্ত্রণালয়ের কাছে সবথেকে বেশি জমি রয়েছে। গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে রেলের কাছে ২৯২৬.৬ বর্গ কিলোমিটার জমি আছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং কয়লা মন্ত্রকের কাছে জমি রয়েছে ২৫৮০.৯২ বর্গ কিলোমিটার। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কাছে জমি রয়েছে ১৮০৬.৬৯ বর্গ কিলোমিটার। এছাড়া ভারী শিল্পের কাছে জমি রয়েছে ১২০৯.৪৯ বর্গ কিলোমিটার। নৌপরিবহনের কাছে জমি রয়েছে ১১৪৬ কিলোমিটার।
আর ভারত সরকারের পরে জমির মালিকানাধীনর লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যাথলিক চার্চ অফ ইন্ডিয়া। এটি সারা দেশ জুড়ে কয়েক হাজার গির্জা, ট্রাস্ট, দাতব সংস্থা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং সোসাইটি পরিচালনা করে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই ক্যাথলিক চার্চের মোট জমির মূল্য বর্তমান সময়ে এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আছে। তিন নম্বর স্থানে জায়গা হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের। এটি সারাদেশে কয়েক হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান পরিচালনা করে এবং সে সমস্ত জমির মালিক এই বোর্ড। এই সব ওয়াকফ জমি এবং সম্পত্তি মুসলিম শাসনকালে বেশিরভাগটাই অধিগ্রহণ করা হয়েছিল।