পার্থ মান্নাঃ একদিকে আরজি কর কাণ্ডের ৪০ দিন হয়ে গেলেও বিচার মেলেনি। অন্যদিকে দুর্গাপুজো আসতে বাকি একমাসের কম। তিলোত্তমার বিচারের প্রতিবাদ মিছিলের মাঝে উৎসবের মরশুম ফিকে হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা যেমন পথে নেমেছেন তেমনি ধর্ণা দিচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তারের। বহু ক্লাব কর্তৃপক্ষই কোনোমতে পুজো সারার পরিকল্পনা নিচ্ছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে দেওয়া ৮৫,০০০ টাকাও ফেরত দিয়েছে বহু ক্লাব। এতকিছুর মাঝে এবার দুর্গাপুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কোয়েল মল্লিকের পরিবার।
দুর্গাপুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মল্লিক পরিবারের
আগামী ২রা অক্টোবরেই মহালয়া, অর্থাৎ পুজো শুরু হতে আর মাত্র ১৩ দিন বাকি। প্যান্ডেলে বাঁশ বাধার কাজ থেকে সাজানোর কাজ চলছে বহু জায়গায়। কিন্তু পুজো পুজো গন্ধতাই যেন হারিয়ে গিয়েছে। কারণ একটাই আরজি করে হওয়া জঘন্য অপরাধের বিচার চাই, নারীদের নিরাপত্তা চাই। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চারিদিকে দেখা যাচ্ছে ‘We Want Justice ও Justice for RG Kar’ স্লোগান। তাই এবছর বাড়ির পুজো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন রঞ্জিত মল্লিক ও কয়ে কোয়েল মল্লিক।
সারা বছর বন্ধ থাকলেও দুর্গাপুজোর কটা দিন সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয় মল্লিক পরিবারের দরজা। ঘরোয়া ভাবে মায়ের আরাধনা করেন খোদ কোয়েল মল্লিকও। দেখতে দেখতে ১০০ বছর হতে চলা এই ঐতিহ্যবাহী বনেদী বাড়ির পুজো কি তাহলে এবছর হবে না? জানা যাচ্ছে, পুজো হবে ঠিকই, তবে এবছর মল্লিক বাড়ির দরজা খুলবে না, বন্ধই থাকবে। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, এবছর চাইলেও দেখতে যেতে পারবেন না মল্লিক বাড়ির পুজো।
পুজো নিয়ে কি বললেন কোয়েল ও রঞ্জিত মল্লিক?
অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিককে পুজো নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘এবছর যেহেতু ১০০ বছরে পা দিচ্ছে উজ তাই আনন্দ তো ছিলই। কিন্তু বর্তমানে শহরের যা পরিস্থিতি তাতে আনন্দ অনেকটা ফিকে হয়ে গিয়েছে। তাই এবছর আর ধুমধাম করে উৎসবের মত নয় বরং ছিমছাম ঘরোয়া আয়োজনেই করা হবে পুজো’।
আরও পড়ুনঃ শেষ শুটিংয়ে মন খারাপ, একেঅপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদল মা-মেয়ে! ভাইরাল ভিডিও দেখে চোখে জল দর্শকদের
অন্যদিকে রঞ্জিত মল্লিক বলেন, ‘বিগত ১০০ বছরে আমাদের পুজো কোনো বন্ধ হয়নি। পরিবারে কারোর মৃত্যু হলেও পুজো বন্ধ রাখা হয়নি। এমনকি আমাদের প্রতিমাও পাল্টায়নি। তবে বর্তমানে আমরা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সকলে। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনা কেউই ভুলতে পারছেন না। পুজোর আনন্দটাই যেন ম্লান হয়ে গেছে। তাই পুজো বন্ধ না হলেও জনসাধারণের জন্য মল্লিকবাড়ির দরজা খুলছে না। এবছর প্রাইভেট ভাবেই পুজোটা করা হবে। এতে মানুষের অসুবিধা হলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’