সাধারণের মাঝে অসাধারনের উদাহরণটা অরিজিৎ সিংয়ের ক্ষেত্রেই খাটে। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও কীভাবে মাটির সঙ্গে মিশে থাকা যায় সেটা তিনিই শিখিয়েছেন। সুরের জগতে তার অবাধ বিচরণ, তার কণ্ঠ ছুঁয়ে যায় মানুষের হৃদয়। নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি রয়েছেন সাফল্যের শিখরে। আসলে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এই ছেলেটা সবার মন জিততে জানে।
আরব সাগরের তীরে বর্তমান বাস হলেও, আজও অরিজিৎ শিকড়ের টানে ছুটে আসেন ভাগীরথীর পাড়ে জিয়াগঞ্জে। এখনও তিনি জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার ভোটার। সবসময় পর্দার আড়ালেই থাকতে চান এই মানুষটা। এইদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চেও তার ব্যতিক্রম হল না।
একথা তো সকলেই জানেন যে, এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলার গর্ব অরিজিৎ সিং। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি ছিলেন অনুষ্ঠানের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। অথচ তিনি ভিআইপি আসনে নয়, সাধারণ দর্শকাসনেই থাকতে চেয়েছিলেন।
সঞ্চালক জুন এবং সাহেব তার নাম ঘোষণা করার সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে মঞ্চে উপস্থিত হলেন তিনি। সামনে রঞ্জিত মল্লিককে দেখে প্রনাম করতে ভুললেন না। সকলের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের পর আবার ফিরে যাচ্ছিলেন সেই দর্শকাসনের দিকেই। ঠিক সেই সময় আটকালেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে প্রসেনজিতকে বলেন, ‘ওকে মঞ্চে নিয়ে এস।’ প্রসেনজিৎ অরিজিতকে টেনে নিয়ে যান মঞ্চে। মঞ্চে তখন একগুচ্ছ তারকা ঝলমল করছে। উপস্থিত রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান থেকে রানি মুখার্জি সহ বলিউড এবং টলিউডের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
এইদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সহ প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মূখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে দু-কলি গানও গেয়ে শোনালেন। ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র পর ‘রঙ দে তু মোহে গেরুয়া’ গেয়ে শাহরুখকে ট্রিবিউটও জানালেন তিনি। সবাইকে নিয়ে শুভারম্ভ হল ২৮ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।