পার্থ মান্নাঃ কিছুদিন আগেই খবর মিলেছিল কলকাতার নিমতলা শ্মশানঘাটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীতে খবর আসতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন খড় কলকাতার মেয়র। এরপর ছট পুজোর দিনেও তক্তাঘাটে গঙ্গার পাড় ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে এসেছে। তাই এবার গঙ্গা নদীর ভাঙ্গনের সমস্যা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বদলে যেতে পারে গঙ্গার গতিপথ
নদীর জলধারণ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়। যদিও কলকাতা পার্শ্ববর্তী গঙ্গা নদীর ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি। তাই শীঘ্রই বড় মাপের ড্রেজিং না করা হলে গঙ্গার গতিপথ বদলে যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসাথে জানান হাওড়ার দিকে যদি পলির পরিমাণ বাড়তে থাকে তাহলে কলকাতার দিকে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। তাই কলকাতার পাশাপাশি ফারাক্কাতেও ড্রেজিং করানো প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই এই মর্মে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভার কমিশনারের তরফ থেকে। জবাবে পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পুরসভার সাথে আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয়েছেন। তাছাড়া এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকেও জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ড্রেজিং কি?
দীর্ঘদিন ধরে নদী প্রবাহিত হলে তার নিচে ধীরে ধীরে বালি বা বলা ভালো পলি জমতে থাকে। বছরের পর বছর পলি জমার ফলে নদীর গভীরতা কমে যায়। এর ফলে দুই পাড়ে জলস্তরের পরিমাণ বেড়ে ভাঙ্গন থেকে প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। তাই সময় থাকতে নদীর নিচে থেকে পলি তুলে ফেলতে হয়। পলি বা মাটি তুলে নদীর গভীরতা বজায় রাখার কাজটিকেই ড্রেজিং বলা হয়।
ছট পুজোয় তক্তাঘাটে ভাঙ্গন
ছটপুজোর দিনেই তক্তাঘাটে ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসে। যদিও সেই এলাকার রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। তাই এই প্রসঙ্গে মেয়র জানান, আমারদের তরফ থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার জায়গা নেই। আমারা চেষ্টা করছি বন্দর কর্তৃপক্ষের সাহতে কথা বলে সমাধানের। উপনির্বাচন মিটলেই বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছে।