পার্থ মান্নাঃ দেখতে দেখতে কালীপুজোও চলে এল। আর কয়েকটা দিন পরেই মা কালীর আরাধনা দেখা যাবে জেলায় জেলায়। একইসাথে ঠাকুর দেখার জন্য উপচে পর্বে মানুষের ভিড়। বাংলার দক্ষিনেশ্বর থেকে কালীঘাট মা কালীর মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। এবছর কালীপুজোর আগেই বড়সড় উপহার পাওয়ার কথা ছিল বাংলার জনগণের। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন কালীঘাট স্কাই ওয়াকের কথাই বলছি। কিন্তু স্কাই ওয়াকে হেঁটে কালীঘাট যাওয়া আপাতত হচ্ছে না!
কালীঘাট স্কাইওয়াক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দক্ষিনেশ্বেরের আদলে কালিঘাটেও স্কাই ওয়াক তৈরির প্রস্তাব রাখেন। এতে মানুষের অনেকটা উপহার হবে বলে মনে করেন তিনি। তাই ২০২১ সালে কালীঘাট স্কাই ওয়াকের কাজ শুরু হয়। তৈরী হওয়ার পর স্কাইওয়াকের দ্বারা মন্দিরের মূল দরজা পর্যন্ত চলে আসা যাবে রাস্তার জ্যাম কাটিয়ে।
এখনই উদ্বোধন হচ্ছে না কালীঘাট স্কাইওয়াকের
গতকাল অর্থাৎ শনিবার ‘টক টু মেয়র’ এ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই তিনি জানান এখনও কাজ বাকি রয়েছে বেশ কিছুটা সেই কারণে কালীঘাটের স্কাই ওয়াক কালীপুজোর আগে উদ্বোধন হচ্ছে না। যদিও এবছর দুর্গাপুজোর আগে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল তবে সেটা আপাতত আরও কিছু মাস সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে।
স্কাই ওয়াক প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘কিছুটা কাজ বাকি আছে। এক ঠিকাদার নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ নেন। পৌরসভা থেকে প্রশাসনের কর্মীরা নজরদারি রেখে দ্রুত কাজ শেষ করছেন। তবে কালীপুজোর আগে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হচ্ছে না’।
প্রসঙ্গত, স্কাই ওয়াকে মানুষের সুবিধার জন্য চলমান সিঁড়ির পাশাপাশি, লিফ্টের ব্যবস্থাও থাকবে। তবে কালীঘাটের স্কাইওয়াক চালু হলে মন্দির পর্যন্ত যাওয়ার পথে যে সমস্ত দোকান বা হকার রয়েছেন তাদের ব্যবসা আর লাভের মুখ দেখবে না বলে আশঙ্কা হকারদের। এই বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হবে যাতে সমস্যার মীমাংসা করা যেতে পারে। তবে চালু হওয়ার পর স্কাই ওয়াকে মহিম হালদার স্ট্রিট, এসপি মুখার্জি রোড. কালী টেম্পল রোড, সদানন্দ রোডের পাশাপাশি গুরুপদ হালদার পাড়া রোড দিয়েও প্রবেশ করা যাবে। আর সোজা মন্দিরে পৌঁছে পুজো যেমন দেওয়া যাবে তেমনি ফেরার পথে সোজা রাস্তায়ও আসা যাবে।