ভারতীয় সংগীত জগতের জনপ্রিয় নাম কুমার শানু (Kumar Sanu)। একদিনে একাধিক গান রেকর্ড করে বিশ্ব রেকর্ডে নিজের জায়গা বানিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি গেয়ে ফেলেছেন ২১ হাজারেরও বেশি গান। তাঁর গানের গলায় মুগ্ধ সংগীত প্রেমীরা। নতুনদের ভিড়েও তাঁর জায়গা আলাদা করেই তোলা আছে ভক্তদের মনে।
মাঝেমধ্যেই নিজের জীবনের নানান অজানা কাহিনী ভক্তদের সামনে তুলে ধরেন কুমার শানু। সম্প্রতিও ঘটেছে এমনটাই। এক সাক্ষাৎকারে নিজের গানের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বহু অজানা গল্প তিনি শুনিয়েছেন ভক্তদের। শুনিয়েছেন বহু গানের কথা।
তিনি বলেন, ‘নানান রকম ব্যস্ততার মাঝেও গান রেকর্ডিং করতে হয়েছে। অনেকবারই ঘটেছে এমন ঘটনা। গানটা আদৌ হিট করবে কিনা। শ্রোতাদের পছন্দ হবে কিনা সে সবকিছু না জেনেই গান রেকর্ড করতে হতো আমাদের। অনেক সময় এই গান রেকর্ডিং করতে গিয়েই বহু গল্প জুড়ে গেছে আমাদের জীবনের সঙ্গে। যা কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়’।
তিনি জানান,’ আশিকী’ ছবির একটি গান গাইতে গিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল তা আজও মনে আছে আমার। চলছিল গানের রেকর্ডিং। হঠাৎ করেই সংগীত পরিচালক নাদিম-শ্রবণ চিৎকার করে উঠলেন। বললেন ‘ইউ আর এ টাইগার’। সেই থেকে আমার নামের সঙ্গে জুড়ে গেল টাইগার শব্দটা। যদিও এতেই শান্তি পাননি সংগীত পরিচালক। গানের রেকর্ডিং শেষ হতে টাকা উড়িয়েছিলেন তিনি’।
নিজের জীবনের আরও একটি অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন কুমার শানু। বলেন, ”এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ গানটি করতে গিয়ে আমার জীবনে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। এই গানটিতে অনেকবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘জ্যায়সে’ শব্দটি। আমাকে আর ডি বর্মন বলেছিলেন, ‘জ্যায়সে’ শব্দটা প্রতিবার অন্যরকম ভাবে বলতে হবে। করেছিলাম তাই’।
তাঁর সংযোজন, ‘গানে একাধিক বার এসেছে এই শব্দ। প্রতিবার আলাদাভাবে বলেছি । রেকর্ডিং শেষ হতেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুম্বন দেন আর ডি বর্মন। কিন্তু এরপরেই যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে অবাক হয়ে গেছিলাম আমি। কিছুক্ষণের জন্য বুঝতেই পারিনি হলো টা কি’।
আসলে এই গানের রেকর্ডিং শেষ হতেই কুমার শানুকে মা বাবা তুলে গালাগালি দিয়েছিলেন আর ডি বর্মন। আর এতেই চমকে ওঠেন সংগীতশিল্পী। গান পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও কেন গালাগালি করছেন সে কথা প্রথমে বুঝতে পারেননি তিনি। যদিও পরবর্তীতে জেনেছিলেন এটাই তাঁর স্বভাব। কোন গান যদি তাঁর ভীষণ পছন্দ হয় তখন তিনি আনন্দের চোটে গালাগালি করেন।