লতা মঙ্গেশকার(Lata Mangeshkar) আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তার অসাধারণ গান মানুষের মধ্যে চিরকাল থেকে যাবে। তবে মৃত্যুর পরেও তার জীবনের নানা কাহিনী জানতে আগ্রহী অনুরাগীরা। লতাজি ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের(Madhyapradesh) ইন্দোর(Indore) শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম দীনানাথ মঙ্গেশকর এবং মাতা ছিলেন সেবন্তী দেবী।
লতাজির নানির বাড়ি ছিল ইন্দোর জেলার কাছেই। সেখানেই তাঁর সঙ্গীত চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপর সাত বছর বয়সেই তিনি মহারাষ্ট্র চলে আসেন। তারপরে ইন্দোরের বাড়িটি একটি মুসলিম পরিবার কিনে নেয়। তার পরিবার কয়েক বছর সেখানে বসবাস করে এবং ওই বাড়িটি বলবন্ত সিংহের কাছে বিক্রি করে। সেই ব্যক্তি আবার দীর্ঘদিন বসবাসের পর মেহেতা পরিবারের কাছে সেই বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে এই মেহেতা পরিবার বাড়ির বাইরের দিকে একটি কাপড়ের শোরুম খুলেছেন।
এখানে বসবাসকারী নিতিন মেহতা এবং স্নেহাল মেহতা বলেন, “যখন আমরা জানলাম যে লতাজি এই বাড়িতে জন্মেছেন তখন আমরা এটি চড়া দামে কিনেছিলাম। এরপর আমরা বাড়িতে সংস্কার করি। দোকানের এক অংশে আমরা লতাজির ম্যুরাল পেয়েছি। তার ছোটভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর এসেছেন।” পরিবার প্রথমে বাড়িটিকে ভালোভাবে সংস্কার করে নেন। আর জানা গিয়েছে এই পরিবার লতাজিকে দেবীরূপে পুজো করেন।
দোকান খোলার আগে তারা প্রত্যেকদিন লতাজির কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে তারপরে দোকানের কাজ শুরু করেন। আবার এই অঞ্চলের দোকানে ছোটবেলায় লতাজি চাট,রাবড়ি, গোলাপ জামুন খেতেন, লোকে এই দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করতেন লতাজি কি খেতে পছন্দ করতেন? আর বিক্রেতা এলেই তখন লতার সম্পর্কে ছোটবেলার জিনিস বর্ণনা করতেন তিনি।