এ এক অমূল্য সম্পদই বটে। আর এবার এই সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেল দেশের অন্দরমহলেই। পাওয়া গেল লিথিয়ামের (Lithium) খোঁজ। এতদিন অবধি আফ্রিকার দেশগুলি থেকে লিথিয়াম আমদানি করত ভারত (India)। তবে এবার দেশের অন্দরে লিথিয়াম পাওয়া যাওয়ার কারণে এই ক্ষেত্রেও বড় বদল আসতে চলেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার সালাল-হাইমানা এলাকায় লিথিয়ামের ভান্ডারের হদিস পেয়েছে ভারতীয় ভূ-তাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ (জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া)। তা-ও আবার কম পরিমাণ নয় প্রায় ৫.৯ মিলিয়ন টন অর্থাৎ, ৫৯ লক্ষ টন লিথিয়াম। কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ন এই লিথিয়াম? কী পরিবর্তন আসবে এরপর?
জানিয়ে রাখি, এই লিথিয়ামের কারণেই চলছে আপনার হাতের স্মার্টফোন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি সব। সমস্ত রিচার্জেবল ব্যাটারির এক অপরিহার্য অংশ। আর সেই কারণেই এই বস্তটি বড্ড দামী। আর যখন তা বাইরে থেকে আমদানি করা হয় তখন এক্সট্রা ট্যাক্স লাগিয়ে দাম আরো বেড়ে যায়।
তাই, দেশের অন্দরে লিথিয়ামের খোঁজ পাওয়ায় এবার ব্যাটারি শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে বলেই ধারণা। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও ভারতকে নতুন দিশা দেখাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। আম-আদমির জীবনেও মিলতে পারে সুফল। সুলভ হতে পারে রিচার্জেবল ব্যাটারি।
এমনকি এতদিন যে ভারতকে লিথিয়ামের জন্য অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো, ভবিষ্যতে সেই ভারত হয়ত রপ্তানিও করবে। পাশাপাশি ব্যাটারি শিল্পে এক বড় শক্তি হয়ে উঠবে ভারত। এই বিষয়ে খনি সচিব বিবেক ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লিথিয়ামের পাশাপাশি ৫ টি সোনার খনিও পাওয়া গেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, এর সাথে একইসাথে ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানাতেও ভালো পরিমাণে খনিজ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। এতে ব্যাটারি তৈরির ব্যয় যেমন কমবে, তেমনই ‘আত্মনির্ভর’ হবে দেশ।