প্রেম, বিচ্ছেদ এই সবকিছুই গ্ল্যামার জগতের মানুষদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিত্যদিন সেলিব্রেটিদের প্যাচআপ এবং ব্রেকআপের খবর আসতেই থাকে। কখনও কখনও কিছু রিল লাইফ কাপল হয়ে ওঠে রিয়েল লাইফ কাপল। একে অপরের সঙ্গী হয়ে ওঠে, আবার কখনও কখনও বাস্তব জীবনের দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে।
আর সম্প্রতি এমনই এক ব্রেকাপের খবর এসেছে টলি পাড়া থেকে। দীর্ঘ ৫ বছর একসাথে থাকার পর আর সেটা টেনে নিয়ে যেতে চাননা বলে ঠিক করেছেন অভিনেত্রী শার্লি মোদক। কিছুদিন আগেই ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’এ হংসিনী চরিত্রে দেখছেন তাকে।
শার্লি সম্পর্কে বলতে গেলে, কলকাতা আসার পর থেকেই তারা সাথে ছিল প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য। শার্লির কাছে তিনি নীল নামেই পরিচিত যদিও। এমতাবস্থায় নতুন শহরে প্রেমিকার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু কী এমন হল যে সব আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল তাদের!
প্রসঙ্গত, নিজেদের প্রেম নিয়ে কোনোদিনই বিশেষ লুকোছাপা করেনি নীল-শার্লি। কখনও দোলে একসঙ্গে রং খেলার ছবি। কখনও আবার একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবি। ইনস্টাগ্রামে উঁকি দিলেই দেখা যেত তাদের টুকরো টুকরো প্রেমের মুহুর্ত। আর তারপরে আচমকাই সম্পর্কে চিড়।
জানা গেছে, ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’র সময় থেকেই আলাদা হওয়ার কথা ভাবছিলেন শার্লি। এইদিন এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে শার্লি জানান, “হ্যাঁ, প্রায় পাঁচ বছর পর আমি সিঙ্গল। এই সময়টা বেষ উপভোগ করছি। এক হাতে তো আর তালি বাজে না। আমি এখন বেশ খুশি। মনে হচ্ছে, একধাক্কায় অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছি। নিজের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো খুব উপভোগ করছি।”
শার্লির এই কথা শোনার পর থেকেই নানা ধরণের প্রশ্ন চাড়া দিচ্ছে অনুরাগীদের মনে। এত মাখোমাখো প্রেমের এই পরিণতি দেখে বিরক্তি জেগেছে ভক্তদের মনেও। যদিও শার্লির জবাব, “আমার আর নীলের এটা যৌথ সিদ্ধান্ত। তবে বাইরে যে যা খুশি আমার সম্পর্কে বলতে পারেন। তাতে যদিও আমার কিছু যায়-আসে না।”