পার্থ মান্নাঃ আজকাল একটা ভালো কাজ খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজ পাওয়া গেলেও তাতে পারিশ্রমিক অনেকটাই কম মিলছে। এই কারণে অনেক যুবক যুবতীরা শিক্ষিত হয়েও বাড়িতে বসে রয়েছে। তবে চিন্তা নেই, আজ এমন একটা ব্যবসা সম্পর্কে জানাবো যেটা কম পুঁজিতে শুরু করে মাস গেলে মোটা টাকা আয়ের সুযোগ তো থাকবেই। তার সাথে সারাবছরই ডিমান্ড থাকবে।
কম পুঁজিতে দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া
যতদিন যাচ্ছে ততই ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের চাহিদা বাড়ছে। জামাকাপড় থেকে শুরু করে ফ্লেক্স হোক বা ব্যানার ডিজিটাল বিশেষ করে বিজ্ঞাপনীর ক্ষেত্রে ব্যানারের ব্যবহার হু হু করে বেড়েছে। তাই এই সময় যদি একটা ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে বাড়ি বসেই মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা যায় করা যেতেই পারে। কিভাবে আপনিও একটি ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা শুরু করবেন? বিস্তারিত জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা
যেকোনো দোকান বা ব্যবসার জন্যই এমন একটা জায়গা বেছে নেওয়া ভালো যেখানে হয় প্রচুর লোকের সমাগম হয় নয়তো সারাদিনে প্রচুর মানুষের যাতায়াত। তবে আপনার যদি বড় রাস্তার উপরেই বাড়ি হয়ে থাকে তাহলে কেল্লাফতে, বাড়ি থেকেই শুরু করা যেতে পারে। এরপর আসে ঘরের ম্যাপ। ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের জন্য কিছু মেশিন পত্র কিনতে হবে। সেগুলোকে রাখার জন্য অন্তত ১০ X ১০ এর একটা ঘর প্রয়োজন। এর থেকে বড় হলে ভালোই হবে। কারণ মেশিন রাখা ছাড়াও একটা কম্পিউটার টেবিল রাখার মত জায়গায় করতে হবে।
এই ব্যবসার জন্য প্রথমে যে মেশিন কিনতে হবে তাতে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত ইনভেস্ট করতে হতে পারে। এছাড়া ঘরের খরচ আলাদা। তাছাড়া মেশিন চালানোর জন্য ইলেকট্রিক লোড থেকে ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও করতে হবে। এই সব হয়ে গেলেই অর্ডার তুলে কাজ করতে শুরু করে দিতে পারেন।
আরেকটা খরচ হবে সেটা হল প্রিন্টিংয়ের জন্য বিভিন্ন রংয়ের কালি ও পেপারে বা ব্যানার মেটিরিয়ালের প্রয়োজন হবে। এমনকি চাইলে বড় কিছু দোকানের অর্ডার ধরে সস্তায় কাজ করে দিলে রেগুলার কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এরপর মেশিনের সংখ্যা ও প্রিংটিংয়ের ধরণের বাড়াতে পারলেই আরও ব্যবসা বেড়ে যাবে।