রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক তিনি, রাজনীতি তার জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আপাদমস্তক একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও বিনোদন জগতের সঙ্গেও বেশ ভালোই সম্পর্ক রাখেন এই বিধায়ক। ইন্ডাস্ট্রির ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেই বেশ ভাল সম্পর্ক তার। কথা হচ্ছে কামারহাটির বিধায়ক তথা বাংলার কালারফুল বয় মদন মিত্রের সম্পর্কে।
পুজো যদিও শেষ তবে মদন মিত্র এখনও চনমনে। পোশাক থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবকিছুই একেবারে না চকচকে রাখতে পছন্দ করেন তিনি। তার স্টাইল, তার কথাবার্তা এমনকি তার ডায়লগ সবকিছুই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রমণী সঙ্গও চোখ ধাঁধানোর মতো। শ্রাবন্তী থেকে শ্রীতমা এইরকম তাবড় তাবড় নায়িকাদের দেখা মেলে তার পাশে। আর এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের (Madhumita Sarkar) নাম।
পুজোর এই কয়টা দিন ভালোই প্যান্ডেল পরিক্রমা করেন মদন বাবু। সেইসব জায়গা থেকেই ছবি ভিডিও শেয়ার করতে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি এমনই কিছু ছবি নেটপাড়ায় শেয়ার করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে দুর্গামণ্ডপে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’ খ্যাত মধুমিতার সাথে দেখা যাচ্ছে তাকে।
ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মদন মিত্রের পরনে রয়েছে সাদা কালো স্ট্রাইপ পাঞ্জাবি আর সাথে লাল ধুতি। চোখে ট্রেডমার্ক চশমা। একহাতে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন ‘পাখি’ ওরফে মধুমিতাকে। অভিনেত্রীর পরনে গোলাপী রংয়ের ক্রপ টপ আর সাথে জিন্স। বেশ হাসাহাসি মুখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন বাংলা কালারফুল বয়।
এখন মদন মিত্রের ছবি ভাইরাল হবে আর তা নিয়ে আলোড়োন সৃষ্টি হবে না তাই কখনো হয়? এই ছবির কমেন্ট বক্সেও আপাতত রসিক রসিক সব কমেন্টের বন্যা। একজন কটাক্ষ শানিয়ে লিখেছেন, ‘ছেলেধরা হয় শুনেছি, পাখিধরা এই প্রথম’। জনৈক কটাক্ষ, ‘অসাধারণ দাদা এই বয়সেও কিভাবে পাখি ধরতে হয় তোমাকে দেখে শিখলাম।’ আবার কারোর মন্তব্য, ‘এসব দেখার পরেও মা দূর্গা যে কেন ত্রিশূল নিয়ে খোঁচা মারছে না!’
এমনিতেও হামেশাই নায়িকা পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায় তাকে। কখনও শ্রীতমা তো কখনও তিয়াশা। এই নিয়ে অভিনেত্রীদেরও কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি। যদিও শ্রীতমার কথায়, মদন মিত্র নাকি তার পিতৃতুল্য। তাই এক বাবা তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছে এতে তার কোনো আপত্তি নেই।