সম্প্রতি মাদ্রাস হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেছে। যেখানে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইশা ফাউন্ডেশনের (Isha Foundation) প্রতিষ্ঠাতা এবং আধ্যাত্মিক গুরু সদগুরু জগ্গি বাসুদেবের (Sadhguru Jaggi Vasudev) বিরুদ্ধে দায়ের করা সব অপরাধমূলক মামলার বিবরণী জমা দিতে।
হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের তদন্ত
পুলিশ সোমবার ইশা ফাউন্ডেশন আশ্রমে একটি ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। এই তল্লাশিতে ৩ জন ডিএসপি সহ প্রায় ১৫০ জন পুলিশকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পুলিশ আশ্রমের বসবাসকারী ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে ও তাদের কক্ষগুলি তল্লাশি করে।
এটির অভিযানের পিছনে একটু গুরুত্ত্বপূর্ন কারণ রয়েছে। কারণটি হল তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস. কামারাজ তার দুই মেয়েকে ইশা ফাউন্ডেশন আশ্রমে অবৈধভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, আশ্রম কর্তৃপক্ষ তার মেয়েদের ব্রেনওয়াশ করে সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। তাদের মানসিক স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সদগুরু ও ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিক্রিয়া
ইশা ফাউন্ডেশন এ বিষয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে। ফাউন্ডেশন দাবি করেছে যে, এই নারীরা তাদের ইচ্ছায় আশ্রমে বসবাস করছে ও তাদের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সদগুরু এবং তার দল জানিয়েছেন যে, ইশা ফাউন্ডেশন কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে না। আর সেখানে থাকার জন্য বা সন্ন্যাসী জীবন বেছে নেওয়ার জন্য কোনো চাপ দেওয়া হয় না।
আদালতের তদন্ত ও সিদ্ধান্ত
হাইকোর্টের বিচারকরা এস. এম. সুব্রামানিয়াম এবং ভি. শিবগণনাম এ মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, এই ধরনের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত প্রয়োজন। বিচারকেরা মন্তব্য করেছেন যে, ফাউন্ডেশন নিজেকে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করেই পরিচালিত করতে হবে, আর এই ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনও জরুরি। আদালত আরও জানিয়েছে, এটি কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের বিপক্ষে বা পক্ষে নয়, বরং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।