আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মহালয়া। আর তার পরেই দেবীপক্ষের সূচনা। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। আশ্বিনের ‘শারদ প্রাতে’ আলোকবেণু বাজতে আর কয়েকদিন অপেক্ষা। মহালয়ার দিন ভোর হতে না হতেই বাঙালির ঘরে ঘরে শোনা যায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনা।
তবে এখনকার দিনে রেডিও-এর পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দাতেও, মহালয়া দেখার উৎসাহ কম থাকে না। আর এই নিয়ে চ্যানেলগুলির মধ্যে চলতে থাকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কে কত ভালো উপাস্থাপনা করছে সেই নিয়ে চলে রেষারেষি।
এসবের মাঝে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে যেটা নিয়ে তার হলো, কে হবেন মহিষাসুরমর্দিনী সেটা নিয়ে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। আর এইদিন মা দূর্গার কোন রূপে কাকে দেখা যাবে সে নিয়ে চলছে নিরন্তর জল্পনা। এমতাবস্থায় ‘জি বাংলা’র মহালয়ায় শুভশ্রী ছাড়াও দেবীরূপে কাদের আগমন হতে চলেছে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্বতী রূপে পর্দায় অবতীর্ণ হবেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। ওদিকে মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষাকে দেখা যাবে দেবী দূর্গার রূপে। দেবী চণ্ডিকা রূপে দর্শক দেখবেন ইধিকা পালকে। যাঁকে এই মুহূর্তে দর্শক দেখছেন ‘পিলু’ ধারাবাহিকে রঞ্জা চরিত্রে। আর দেবী গন্ধেশ্বরী রূপে থাকছেন গৌরী এলো-র গৌরী ওরফে মোহনা।
এখানেই শেষ নয়, মায়ের আরো নানান রূপে হাজির হবেন চ্যানেলের অন্যান্য অভিনেত্রীরা। তুবড়ি অর্থাৎ সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা দেখতে পাবো মহাকালী রূপে। উমা ওরফে শিঞ্জিনী চক্রবর্তী ধরা দেবেন দেবী কামাক্ষ্যার অবতারে। জি বাংলার মিতুল ওরফে আরাত্রিকা মাইতি সাজবেন মা মহালক্ষ্মী অবতারে।
পাশাপাশি পিলু অর্থাৎ মেঘা দাঁ-কে আমরা দেখতে পাবো দেবী কুষ্মাণ্ডা রূপে। হংসিনী অর্থাৎ শার্লী মোদক পর্দায় হাজির হবেন দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে এদিকে অনামিকা অর্থাৎ রূকমাকে দেখা যাবে দেবী স্কন্দ মাতার রূপে। সবে মিলিয়ে জি বাংলার মহালয়া এবার একেবারেই জমজমাট।