সবেমাত্র শেষ হয়েছে মহালয়া। পিতৃ তর্পণ করে পিতৃপুরুষকে স্মরণ করে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা ঘটেছে। এবার শুধু ঢাকে কাঠি পড়ার অপেক্ষা। উৎসব শুরু হলো বলে। মাঝে আর কয়েকটা দিন আর তারপরেই ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে শুরু হয়েছে উন্মাদনা।
মন্ডপগুলোতে চলছে নানা আয়োজন, আলোকসজ্জা, আরো কত কী! সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন অপেক্ষা করছে মাকে বরণের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মন্ডপের সাজসজ্জা শেষ হয়ে শুরু হয়ে গেছে মন্ডপ উদ্বোধনও। পাশাপাশি মানুষ জনও পুজোর প্ল্যান নিয়ে রেডি।
বাংলার বুকে শারদীয়ার চেয়ে বড়ো উৎসব বোধহয় আর কিছু নেই। এতোটাই আড়ম্বরের সাথে মা-কে বরণ করা হয় যে তার জন্য অনুদান আসে সরকার থেকেও। এমনকি মন্ডপ উদ্বোধনের জন্য আসে বড়ো বড়ো ব্যক্তিরা। তা সে কোনো ফিল্ম সেলিব্রেটি হোক কি কোনো রাজনীতিবিদ।
যেমন বালিগঞ্জের ২১ পল্লীতে মন্ডপ উদ্বোধন হয়েছে গত পরশু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জি বাংলার জনপ্রিয় শো ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জী এবং তৃণমূল সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
এইদিন নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো উদ্বোধনী সভা। নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুল দিয়ে দেবীপ্রণাম করেই বেরিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সামনে খালি বোর্ড দেখে আচমকাই ছবি আঁকার কথা মনে হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর। উদ্যোক্তাদের সে কথা জানাতেই হাজির হয় আঁকার সরঞ্জাম।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
মন্ডপে দাঁড়িয়েই ক্যানভাসে লাল রঙের পাঁচটি
সেখানে দাঁড়িয়ে বোর্ডে আঁকেন পাঁচটি লাল ফুল। একটি ফুলদানিতে তা সাজানো রয়েছে। তা দেখে মণ্ডপ ঘুরতে আসা মানুষজনও দাঁড়িয়ে পড়েন। পাশে রঙের বাক্স হাতে নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর তার ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সুদীপা। এই ভিডিওটিই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন। চমৎকার পেইন্টিং আপনি আপনার জাদুর কাঠি দিয়ে তৈরি করেছেন, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে’! ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই যে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।