নিউজশর্ট ডেস্কঃ ৩২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে আরজি কর ঘটনার পর, এখনও বিচার পাইনি তিলোত্তমা। এসবের মাঝেই নিজেদের দাবিতে অনড় জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে একাধিক সরকরি আধিকারিকদের পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছিল, কিন্তু জুনিয়ার ডাক্তারেরা সেটা চায়নি। যদিও জুনিয়ার এর সমাধানের জন্য চিকিৎসকদের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের। কিন্তু তাঁর আগেই দুটি শর্ত রাখা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এক, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। দুই ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে বসতে হবে। এই দাবির কোনোটাই মানা না হওয়ায় তৃতীয় দিনেও বৈঠক হল না।
কিন্তু কেন মানা হল না শর্ত? এর উত্তরে জানা গিয়েছে, যেহেতু মামলাটি সুপ্রিম করতে বিচারাধীন তাই লাইভ সম্প্রচার সম্ভব নয়। তবে রেকর্ডিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই ফের বৈঠক হবে হবে করেও হল না রাজ্য ও আন্দোলনরত ডাক্তারদের।
এদিন বৈঠকের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুলেছেন মুখমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি আমরা। আমাকে অনেক অপমান অসম্মান করা হয়েছে। আমাদের সরকারকেও অসম্মান করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার থেকে কুৎসা রটানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ রং বোঝেননি। ওরা বিচার চায় না ওরা আসলে চেয়ার চায়। মুখ্যমন্ত্রী পদ আমার চাই না, মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। কিন্তু আমি চাই, তিলোত্তমা বিচার পাক, মানুষ বিচার পাক, আর সাধারণ মানুষ তাদের চিকিৎসা পাক।’
এরপর বৈঠক ভেস্তে যাওয়র ঘটনা প্রসঙ্গেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দু ঘন্টা ধরে বসে ছিলাম। আজ তিন দিন ধরে বসে আছি। আমার মত আপনারাও আশায় ছিলেন আজ সমাধান হবে। বৈঠকে আসবেন বলে নবান্নেরর গেট পর্যন্ত এসেও ফিরে গেছেন। অনেকে বৈঠকের জন্য রাজি হলেও বাইরতে হটাকে নির্দেশ ছিল কোনো সমঝোতা না করার। দামি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আর ডাক্তারদের কাছে অনুরোধ কাজে ফিরুন’।
আরও পড়ুনঃ দেশের ১০ কোটিরও বেশি প্রবীণদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সময় পেরিয়ে গেছে, রাজ্য কোনো পদক্ষেপ নিলে আর বাধা দেবে না। কিন্তু আমি তেমন কিছু করব না। ইতিমধ্যেই ২৭ জন মৃত ও ৭ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সবশেষে মমতা জানান, এরপরেও যদি জুনিয়ার ডাক্তারেরা বৈঠকে বসতে চায় তাহলে মুখ্য সচিব ও নবান্নের আধিকারিকেরা তাদের বক্তব্য শুনবেন। তবে আপাতত তিনি নিজে আর আলোচনায় থাকবেন না।