পার্থ মান্নাঃ দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাংলার শিল্প মহলে সুখবর মিলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে যেতেই মিলেছে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাক্টরি তৈরির সুখবর। পশ্চিমবঙ্গেই তৈরী হবে নতুন সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। যার ফলে একদিকে যেমন অর্থনীতি আরও উন্নত হবে তেমনি প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। আর সেমিকন্ডাকটর ম্যানুফ্যাক্টরিং শুরু হলে মেড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পেও গতি আসবে। তাছাড়া বাংলায় নতুন শিল্পের খবর খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সাথে মোদীজির আলোচনার ফলে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা চালু করার সিদ্ধান্ত জানার পর বৃহস্পতিবারেই বাংলায় শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক করেন। মমতা জানান, ‘এটা বাংলার জন্য একটা বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। আমাদের ওয়েবেল এই কাজটা ৩ বছর ধরে করে আসছে’। এরপর নতুন শিল্প এলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলায় সেমিকন্ডাকটর কারখানা
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারেই জেলা ও রাজ্য প্রসাধনের কর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় সেমিকন্ডাক্টর তৈরীর কারখানা তৈরী হওয়ার কথা উঠতে সকলে বেশ উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন। আর মুখ্যসচিব বলেন, ‘আমেরিকারকনসাল জেনারেলের সাথে বৈঠক হয়েছে। এই সেমিকন্ডাক্টর তৈরী করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া ওনাদের কিরকম ভাবনা চিন্তা সেই বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছিল’।
হাওড়া হুগলিতে জমি খালি নেই
বৈঠক চলাকালীন বাংলার শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘হাওড়া ও হুগলিতে একদমই জমি ফাঁকা নেই। বর্ধমান রোড ধরে কলকাতা ফেরার পথে খেয়াল করেছি দুপাশে কোথাও কওমি খালি নেই। সমস্ত জায়গায় শিল্প হয়েছে। বাংলা এখন কৃষিকাজের সাথে শিল্পে মোড়া। তাছাড়া বাংলায় শিল্প স্মেলনের আগেই একটা রোড ম্যাপ বানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী দুবাই থেকে লুলু গ্রূপ আসছে। তাদের জন্য ইতিমধ্যেই জমি তৈরী করে রাখা হয়েছে’।
অবশ্য বৈঠকে শুধুমাত্র শিল্প নয় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সুরক্ষা নিয়েও কথা হয়। খুব দ্রুত সরকারি হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষার পরিকাঠামো তৈরী করা হবে বলে জানান তিনি। এমনকি ইতিমধ্যেই নাকি হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, হাসপাতালের সুরক্ষার্থে বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স চালু করা হবে। প্রতিটি মেডিকাল কলেজের অধ্যক্ষকে এই বিষয়ে বলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজের প্রতিটা বিল্ডিংয়ে ও ফ্লোরে অ্যালার্মিং অ্যাপ রাখা হবে।