Mamata Banerjee talks about strict punishment for crime against women in Aparajita Bill

নারী সুরক্ষার্থে পাশ ‘অপরাজিতা বিল’, যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে মৃত্যুদন্ড, আর কি বললেন মমতা?

নিউজশর্ট ডেস্কঃ আরজি কর কান্ডের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে দর্শনের মত মামলায় অপরাধিকের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নতুন বিল “অপরাজিতা” এনেছে রাজ্য। আজ মঙ্গলবারই সেটা বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই বিলের সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কি বলা হয়েছে এই নতুন বিলে? চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড সংশোধনী বিল সম্পর্কে জানান, দ্রুত তদন্ত ও দ্রুত ন্যায় বিচারের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এই আইনে একদিকে যেমন যৌন নির্যাতনের মামলা হলে কঠোর শাস্তি পাওয়ানো থবলা হয়েছে। তবে তার জন্য কি কি পাল্টে গেল? জানতে হলে আর্টিকেটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

অপরাজিতা আইনের বিলে কি কি বলা হয়েছে

  • নতুন বিলে ধর্ষণ থেকে গণধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে ১০ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। একই আথে জরিমানা করা যে যে টাকা দিয়ে নির্যাতিতার চিকিৎসা থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এর ৪৬১ ধারা অনুযায়ী।
  • যদি নির্যাতিতার মৃত্যু ঘটে তাহলে ২০ বছরের জন্য সশ্রম জেল বা বিশেষ ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ডের কথাও বলা হয়েছে।
  • ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অ্যাসিড আক্রমণের ক্ষেত্রে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছিল সেটা বাড়িয়ে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাথে জরিমানা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। এমনকি আজীবন কারাবাস থেকে বিশেষ ক্ষেত্রে মৃত্যু দণ্ড দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
  • নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩ এ নতুন ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ‘বিশেষ আদালত’ তৈরী করা হবে। প্রতিটা জেলায় এই স্পেশাল আদলতের মাধ্যমে দ্রুত ধর্ষণের মামলার বিচার করা হবে।
  • স্পেশাল কোর্টে বিচারের দায়িত্বে থাকবে রাজ্যের দায়রা বিচারক থেকে অতিরিক্ত দায়রা বিচারকেরা, যাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ও সম্মতিতেই বিচার করবে। একিসাথে নির্যাতিতার পক্ষে মামলা লড়ার জন্য সরকারি উকিল নিয়োগ করবে করার যার নূন্যতম ৭ বছরে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এখানেই শেষ নয়, সাথে অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও বলা হয়েছে। যারা কোনো দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করবে। তবে নির্যাতিতা যদি মাইনর বা শিশু হয় সেক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে সাক্ষ্য প্রমাণ জোগাড় করতে হবে। তদন্ত শেষ করে চারজিৎসিত ফাইল হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই মামলার শুনানি হবে।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া ডিগ্রি। পড়াশোনা শেষে বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়াতে কর্মজীবন শুরু ২০২০ সালে। বিনোদন, লাইফস্টাইল, টেকনোলজি থেকে ভ্রমণ সম্পর্কে লিখতে দক্ষ। তবে পড়াশোনা বিষয়ক লেখালিখিতেও বেশ আগ্রহী। কাজের বাইরে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখতে, ঘুরতে যাওয়াই নেশা মেল - [email protected]

X