‘মমতা শঙ্কর’ নামটা হয়তো বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। আসলে খুব একটা বিতর্ক বা কন্ট্রোভার্সির মধ্যে থাকেননা তিনি। কিন্তু যারা একটু পুরোনো বাংলা সিনেমার ভক্ত তাদের কাছে কিন্তু এ এক বহুল পরিচিত নাম। অভিনেত্রী হিসেবে এক কথায় অনবদ্য তিনি।
প্রসঙ্গত, এযাবৎ সেরকম কোনো কন্ট্রোভার্সিতে না জড়ালেও সম্প্রতি তিনি জায়গা করে নিয়েছেন খবরের শিরোনামে। আসলে একথা খুব কম মানুষই জানেন যে, একটা সময় মমতা শঙ্করের সাথে মিঠুনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলেও হঠাৎ তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু ঠিক কী কারণে তারা আলাদা হয়েছিলেন সে কথা আজও অজানা।
আর সম্প্রতি নতুন ছবি ‘প্রজাপতি’র প্রোমোশনে এসে সেই বিষয়টা থেকেই পর্দা সরালেন খোদ মমতা শঙ্কর। এখানে পাঠকদের বলে রাখি, মমতা শঙ্কর এবং মিঠুনের মত কালজয়ী জুটিকে একসাথে দেখা গিয়েছিল প্রায় ৪৭ বছর আগে। ‘মৃগয়া’ ছবিতে একসাথে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন দুই তারকা।
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় পর মিঠুনের সঙ্গে বড়পর্দায় প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আমরা ‘মৃগয়া’র শ্যুটিং করেছিলাম। তবে আমরা যে ৪৭ বছর পর কাজ করছি সেটা একবারও মনে হয়নি। মনে হচ্ছিল, এই সেইদিন শ্যুটিং করলাম। যেখান থেকে ছেড়েছিলাম, সেখান থেকেই ফের আরম্ভ করলাম’।
আর এরপরেই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় তার এবং মিঠুনের বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে। মমতা নিজেও হেসে সেইকথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, হয়তো ওটা ঈশ্বরের করা প্ল্যান। তার কথায়, ‘‘সেটা হওয়াতে বোধ হয় আমি চন্দ্রোদয়কে আরও ভাল ভাবে চিনেছি, বুঝেছি। আরও বেশি ভালবাসতে পেরেছি’’ যদিও তিনি এটা স্বীকার করেন যে, বিয়ে না হলেও বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে তাদের মধ্যে।
মমতা শঙ্কর বলেন, ‘বিয়ে না হয়ে খুব ভালো হয়েছে। মিঠুন খুব ভালো বন্ধু। তবে আমার নাচ, ছবি করা বন্ধ হয়ে যেত। ও সেগুলো পছন্দ করতো না। ওর হচ্ছে, তুই শিখছিস শেখ। কিন্তু বউ হওয়ার পর বাড়িতে থাকবে। যোগিতার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তাই ওর জন্য যোগিতাই ঠিক আর আমারজন্য চন্দ্রোদয় (অভিনেত্রীর স্বামী)’।