টানা ১৪ বছর ধরে ডিনার করেন না মনোজ বাজপেয়ী, কারণ জানলে আপনিও ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন ডিনার

আজকের দিনে বলিউডের (Bollywood) এক বড় নাম হল মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee)। কমেডি হোক কী সিরিয়াস চরিত্র, সবকিছুই তারকাছে জলভাত। তথাকথিত নায়কসুলভ চেহারা না থাকা সত্বেও একটার পর একটা বড়ো প্রোজেক্টে কাজ করে চলেছেন। তবে জানেন কি যে, এই অভিনেতার জীবনে স্ট্রাগল (Struggle) কিন্তু কম নয়। একের পর এক ঝড় বয়ে গিয়েছে ছোটবেলা থেকেই।

খুব ছোট থেকেই বড় অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মনোজ। তবে তিনি যে পরিস্থিতিতে বড় হয়েছেন তাতে কোনোদিনও এই স্বপ্ন পূরণ হবে বলে ভাবতেই পারেননি। যদিও সেই স্ট্রাগলারই আজ বলিউড দাপিয়ে কাজ করছেন। প্রথম ছবি ‘সত্যা’য় একজন গ্যাংস্টার চরিত্রে তার তুখোড় অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শকদের।

তবে এই ছবির পর অনেকটা সময় বসেছিলেন তিনি। পছন্দসই চরিত্র না পাওয়ার কারণে কাজ পাচ্ছিলেননা তিনি। কারণ সবরকম চরিত্রে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননা তিনি। ফলে হাতে কাজও ছিলনা। ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবে। যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তখনও প্রচুর স্ট্রাগল করতে হয়েছিল তাকে। সেই সময় কেউই কাজ দিতে চাইতনা তাকে। দিন কাটতো পথনাটক করে।

তবে এসব করেও আর্থিক কষ্ট কমেনি তার। যদিও অর্থাভাবে না খেয়ে কাটিয়েছেন এমনটা নয়। কারণ তিনি বরাবরই শরীর নিয়ে সচেতন। দাদু নিজের শরীর ফিট রাখতে যা যা করতেন তিনিও সেভাবেই নিজেকে সুস্থ রাখতেন। তার দাদুর বরাবরের অভ্যাস ছিল রাতে না খাওয়া। মনোজও তাই করতেন। একটানা ১২-১৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকার অভ্যাস করতেন তিনি।

আর এই অভ্যাস এখনও রয়েছে তার। এই নিয়মে বেশ সুস্থও আছেন তিনি। উল্লেখ্য, নিজের স্ট্রাগল নিয়ে বেশ কয়েকবার মুখ খুলেছেন তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে মনোজ জানান, ”অনেকের মতোই একবুক স্বপ্ন নিয়ে আমি মুম্বইতে এসেছিলাম। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াইও করেছিলাম। হতাশা ছিল, অস্বস্তি ছিল। তখনকার দিনে এবার রুটিনের মতো ছিল, তুমি তোমার ছবি জমা দেবে সহপরিচালককে, আর তিনি তোমার সামনেই তা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে।

অভিনেতার সংযোজন, “একবার নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা এই অপমান কখন যেন আশায় পরিণত হয়ে যায়। আমি স্থির করেছিলাম, খবরের কাগজে পড়া এক়টি চরিত্র আমি পাঠ করে দেখাব। পথনাটিকা থেকে যা শিখেছিলাম, তাই দিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলোই আমার শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।”

Papiya Paul

X